ফরজুলের বাড়িতে আগুন নেভাচ্ছেন দমকলর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
বাড়ি ও শৌচাগার তৈরি নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ এবং মারধরের জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হল। শনিবার কলকাতায় হাসপাতালে ওই ব্যক্তি মারা যান। রবিবার তাঁর দেহ কালিয়াচক-২ ব্লকের মেহেরাপুর নতুনপাড়া গ্রামের বাড়িতে আনতেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করে ও আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। মোথাবাড়ি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মালদহ থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়।
এক সপ্তাহ আগে ওই মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ফরজুল শেখ কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার হয়। সে এখন জেল হেফাজতেই রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গাপ্রসাদ পঞ্চায়েতের মেহেরাপুর নতুনপাড়া এলাকার দুই প্রতিবেশী বাবলু শেখ ও ফরজুল শেখ। বাড়ি তৈরি করাকে কেন্দ্র করে গত ১৮ অগস্ট দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত। সেদিন বাবলু নিজের জমিতেই বাড়ি ও শৌচাগার তৈরি করাচ্ছিলেন। অভিযোগ, ওই কাজে ফরজুল বাধা দেয়। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসাও চলে। অভিযোগ, তারপরেই ফরজুল তার দলবল ও পরিবারের লোকজনদের নিয়ে বাবলুর উপর আক্রমণ করে। লাঠিসোটা ও ইট নিয়ে হামলাও চালানো হয়। বাবলু মারাত্মক ভাবে আহত হন। প্রতিবেশীরা বাবলুকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেদিন রাতেই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই শনিবার মারা যান বাবলু।
জানা গিয়েছে, ওই হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী ফরজুলের ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাবলুর দাদা নৌসাদ আলি। সেদিন পুলিশ মূল অভিযুক্ত ফরজুলকে গ্রেফতারও করে। গঙ্গাপ্রসাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘গোটা গ্রামের মানুষ ফরজুলের উপরে ক্ষুব্ধ ছিল। কিন্তু বাবলুর মৃত্যুর পর গ্রামবাসীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়। আমরা গ্রামবাসীদের বোঝাবার চেষ্টা করেছি। আইনের পথেই অভিযুক্ত শাস্তি পাবে।’’
পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও সেই অভিযুক্তর বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে কিছু মানুষ। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy