E-Paper

প্রচার সত্ত্বেও ভিড় নেই শততম ‘মন কি বাতে’

রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের তরফেও এ দিন পাঁচটি স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। আলিপুরদুয়ার জংশনে হাজির ছিলেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ০৭:০৬
প্ল্যাটফর্মে ‘মন কি বাত’ শুনছেন জন বার্লা। আলিপুরদুয়ারে। নিজস্ব চিত্র

প্ল্যাটফর্মে ‘মন কি বাত’ শুনছেন জন বার্লা। আলিপুরদুয়ারে। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির তরফে আগে থেকেই চলছিল প্রচার। ‘মন কি বাত’-এর একশো দিনে বুথে বুথে যাতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা করেন কর্মী-সমর্থকেরা, সেই নির্দেশও জারি করা হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বেশির ভাগ বুথেই মন কি বাত দেখতে ভিড় তেমন জমল না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ কর্মসূচির আলিপুরদুয়ার জেলার প্রমুখ তথা বিজেপি নেত্রী কবিতা কেরকেট্টা জানান, জেলার পাঁচটি বিধানসভার প্রতিটিতে একশোটি করে বুথ মিলিয়ে মোট পাঁচশোটি বুথে রবিবার দলের তরফে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৪১০টি বুথে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা গিয়েছে। বাকি বুথগুলিতে অনুষ্ঠান না সম্প্রচার হওয়ার কারণ হিসাবে বিজেপি নেত্রী বলেন, “ঝড়-বৃষ্টির ফলে বাকি জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। যার জেরে সেখানে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা যায়নি।” বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, “জেলার যে সব জায়গায় দলের তরফে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা যায়নি, সেখানে টেলিভিশন বা সমাজমাধ্যমে মাধ্যমে মানুষ শুনেছেন।”

রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের তরফেও এ দিন পাঁচটি স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। আলিপুরদুয়ার জংশনে হাজির ছিলেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। শুরুতে স্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জে বসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন বার্লা। কিছু সময় বাদে সেখান থেকে বেরিয়ে প্ল্যাটফর্মে বাকিদের মাঝে বসে টিভিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন তিনি।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারেও প্রত্যেকটি বিধানসভা থেকে বাছাই করা একশোটি বুথে কমপক্ষে ২৫ জনকে নিয়ে কর্মসূচির নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বহু বুথে হাতেগোনা কর্মীদের নিয়ে ওই কর্মসূচি হয়। বিজেপির কোচবিহার সাংগঠনিক জেলার মধ্যে আটটি বিধানসভা রয়েছে। তার মধ্যে ৮০০ টি বুথের ওই কর্মসূচি নেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত শুনতে বহু মানুষ ভিড় করেন। প্রত্যেকটি বুথে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। দুই-একটি বুথে সদস্য সংখ্যা কম হতেই পারে। কারণ এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল। মোবাইল থেকেও অনেকে তা শুনেছেন।’’ তৃণমূলের কোচবিহার জেলার চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘মানুষ আর ওই কথা শুনতে চান না। মূল্যবৃদ্ধি, একশো দিনের কাজ বন্ধ, আবাস প্রকল্পে টাকা দেওয়া হচ্ছে না, সে সব নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

maan ki baat Narendra Modi Alipurduar Coochbehar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy