পাশে: পুরাতন মালদহের সাহাপুর হাইস্কুলে আবেদনপত্র পুরণ করে দিচ্ছে ছাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।
পরনে স্কুল ড্রেস। স্কুলে বারান্দায় বেঞ্চে বসে কেউ পূরণ করছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আবেদন, কেউ বা ভরছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন পত্র। শুক্রবার পুরাতন মালদহের সাহাপুর হাই স্কুলের দুয়ারে সরকারের শিবিরে ফর্মপূরণে দেখা গেল কন্যাশ্রী যোদ্ধাদের। টাকার বিনিময়ে ফর্ম পূরণের অভিযোগ উঠেছে জেলার বহু শিবিরে। সেই প্রবণতা রুখতে ব্লক জুড়ে কন্যাশ্রী যোদ্ধাদের আসরে নামানো হয়েছে, দাবি ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের।
দ্বিতীয় দফায় জেলা জুড়েই আড়াই হাজার দুয়ারে সরকারের শিবিরের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, এখন পর্যন্ত সিংহভাগ শিবিরই হয়ে গিয়েছে। আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ১৪ লক্ষ। এরমধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডারেরই আবেদন পড়েছে সব থেকে বেশি। আর শিবিরগুলিতেই টাকার বিনিময়ে ফর্ম পূরণের কারবার চলছে বলে অভিযোগ। কোথাও ৩০ টাকা, কোথাও আবার নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা করে ফর্ম পিছু। পুলিশের অভিযানের পাশাপাশি ফর্ম ভরে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন বিডিও, মহকুমাশাসকেরাও। এমনকি, ফর্মপূরণের জন্য আসরে নামানো হয়েছে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও।
এবারে পুরাতন মালদহে ফর্ম পূরণের জন্য আসরে নামানো হয়েছে কন্যাশ্রী যোদ্ধাদের। স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রী বসেছে শিবিরে। উপভোক্তাদের ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছে মেয়েরাই। সাহাপুর হাই স্কুলের ছাত্রী সুন্দনা দাস বলেন, “দেড় বছর স্কুল বন্ধ। স্কুলের পোশাক পরে বেঞ্চে বসে সাধারণ মানুষের ফর্ম পূরণ করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।” ফর্ম পূরণের পাশাপাশি মাস্ক পরারও বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় সুনন্দা। নিখরচায় ফর্ম পূরণ হওয়ায় খুশি উপভোক্তারাও।
এদিন পুরাতন মালদহের ৬টি স্কুলে দুয়ারে সরকার শিবির হয়েছে। এদিন ভিড় ছিল অনেকটাই কম, দাবি প্রশাসনের কর্তাদের। পুরাতন মালদহের বিডিও তেজা দীপক বলেন, “টাকার বিনিময়ে ফর্মপূরণের অভিযোগ আসছিল। তাই কন্যাশ্রী যোদ্ধাদের কাজে লাগানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy