প্রতীকী ছবি।
রক্ত সঙ্কটের জেরে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের এক বন্দি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন সদর হাসপাতালে। রক্ত দিয়ে ওই বন্দির প্রাণ বাঁচালেন সংশোধনাগারের কর্তব্যরত এক জেল ওয়ার্ডেন। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে পেরে খুশি জেল কর্তৃপক্ষ।
এই সংশোধনাগারে প্রায় সাড়ে চোদ্দোশো বন্দি রয়েছেন। এক বছর আগে এখানে আসেন ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ৪০ বছরের এক ব্যক্তি। বেশ কিছুদিন থেকে অসুস্থ তিনি। মূত্রজনিত রোগ ছাড়াও তিনি একাধিক অসুখে ভুগছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। ১৪ নভেম্বর শারীরিক অবস্থায় অবনতি হলে তাঁকে জেল কর্তৃপক্ষ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে বন্দির শারীরিক অবস্থা বেশ কয়েকদিন থেকেই অবনতি হচ্ছিল। রবিবার আরও অবনতি হওয়ায় রক্তের খুব প্রয়োজন হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, রক্ত না দিলে এই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এ দিন সকালে সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে মাত্র চার ইউনিট রক্ত ছিল বলে খবর। বন্দির অসহায় অবস্থা শুনে সংশোধনাগার থেকে তাঁকে রক্ত দিতে আসেন মালদহের বাসিন্দা জেলের ওয়ার্ডেন বাপ্পা মণ্ডল। তিনি নিজের রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচান বন্দির।
জেলার অপূর্ব সেন বলেন, ‘‘এই ঘটনায় বন্দিদের বিশ্বাস হবে, তাঁদের আমরা ভালোবাসি। এতে বন্দিদের দ্রুত পরিবর্তন হবে।’’ হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘‘রক্তের সঙ্কট রয়েছে। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে সমস্যা মিটবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy