Advertisement
E-Paper

রায়পুর চা বাগান অধিগ্রহণের পথে হাঁটছে রাজ্য, ইঙ্গিত মন্ত্রীর

জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া রায়পুর এখন জেলার একমাত্র বন্ধ চা বাগান। বছর চারেক ধরে বাগানটি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এই বাগান নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে জেলা প্রশাসন এবং তৃণমূল উভয়ের মধ্যেই।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৫১
থমকে: রায়পুর চা বাগান।

থমকে: রায়পুর চা বাগান। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্য সরকার জলপাইগুড়ির বন্ধ রায়পুর চা বাগান অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে ইঙ্গিত দিলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।

জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া রায়পুর এখন জেলার একমাত্র বন্ধ চা বাগান। বছর চারেক ধরে বাগানটি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এই বাগান নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে জেলা প্রশাসন এবং তৃণমূল উভয়ের মধ্যেই। বারবার এখানকার শ্রমিকদের মধ্যে অপুষ্টির অভিযোগ উঠেছে। এই বাগান খুলতে একাধিক বার জলপাইগুড়ি জেলায় এবং নবান্নে বৈঠক হয়েছে। যদিও বাগান খোলেনি। এর আগে গত বিজয়া সম্মিলনীতে জলপাইগুড়ি জেলায় এসেই শ্রমমন্ত্রী আক্ষেপ করে জানিয়েছিলেন, বৈঠক ডাকলে আসব বলেও আসেন না রায়পুরের বর্তমান মালিক। এ দিন মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে

তৃণমূল চা শ্রমিক সংগঠনের সভায় যোগ দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর ফের এই বাগান নিয়ে নবান্নে বৈঠক ডাকা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “এ বারের বৈঠকে না এলে আমরা পদক্ষেপ করব। বাগান খোলার ব্যবস্থা করব।” প্রশাসনের থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে তা নিয়ে জানতে চাইলে মলয় ঘটক বলেন, “পুরোটাই আইনি প্রক্রিয়া। প্রথমে, মালিকের লিজ় বাতিল করতে হয়। সে কারণে আগে আলোচনা করে নিতে হবে।”

ইতিমধ্যেই রায়পুর চা বাগানের লিজ় বাতিলে প্রস্তাব জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের তরফে নবান্নে পাঠানো হয়েছে। একাধিক বার বৈঠকে মালিক পক্ষের অনুপস্থিত থাকার কথা জানিয়ে লিজ় বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে প্রশাসন। সে প্রস্তাব ইতিমধ্যেই রাজ্যের টেবিলে রয়েছে। কাজেই এ বারে রাজ্যের ডাকা বৈঠকে মালিক পক্ষ গরহাজির থাকলে, লিজ় বাতিল করে দেওয়া হতে পারে বলেই ইঙ্গিত মন্ত্রীর। তার পরে, টেন্ডার করে নতুন মালিকের হাতে দেওয়া হতে পারে এই বাগান।

যদিও রায়পুরের মালিক পক্ষের একটি সূত্রের দাবি, বিষয়টি এত সহজ হবে না। কারণ, শ্রমিকদের যে বকেয়া পাওনাগন্ডা রয়েছে তা মাঝেমধ্যেই যতটা সম্ভব করে শোধ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বকেয়া শোধ করলে বাগানের মালিকানা নিয়ে আইনত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সে কারণে লিজ় বাতিল করা হলে, তাঁরা পাল্টা আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন।

এ দিকে বাগান সূত্রের খবর, রায়পুর চা বাগানকে ‘বন্ধক’ রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছে বর্তমান মালিক পক্ষ। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের তরফেও মামলায় যোগ দেওয়া সম্ভব। সব মিলিয়ে আইনত জটিলতায় আটকে রয়েছে এই বাগান। কিন্তু প্রশাসনের একাংশ মনে করছে, রাজ্য প্রশাসন চাইলে, সব জটিলতার নিষ্পত্তি সম্ভব। শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভেবে চা আইন মেনে বাগান অধিগ্রহণ করে নতুন মালিকের হাতে দেওয়া যেতে পারে বলে তাদের দাবি।

এই চা বাগানের তৃণমূলের প্রধান প্রধান হেমব্রম বলেন, “অনেক হয়েছে, যে ভাবেই হোক, এ বার বাগান খুলুক।”

Malay Ghatak
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy