সান্দাকফুতে মরসুমের প্রথম তুষারপাত। — নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণাবর্তের জের। দক্ষিণের প্রায় সব জেলা এবং উত্তরের কিছু অংশে চলছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। তার প্রভাবেই বছরের প্রথম তুষারপাত দার্জিলিং জেলার সান্দাকফুতে। চারদিক ঢেকেছে বরফের চাদরে। কমেছে তাপমাত্রা। পর্যটকদের কাছে উপরি পাওনা। তারা চুটিয়ে উপভোগ করছেন তুষারপাত।
ডিসেম্বরের শুরুতেও শীতের পরশ মেলেনি বঙ্গে। শুধু দক্ষিণ নয়, উত্তরেও খুব একটা জাঁকিয়ে বসতে পারেনি শীত। এর মধ্যে বড়দিনের প্রায় আড়াই সপ্তাহ আগেই আবহাওয়ার হঠাৎই পরিবর্তন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তরের বেশ কিছু অংশের আকাশ ছিল মেঘলা। দুপুরের পর থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হলেও তা থেমে যায়। বিকেলের পর থেকে দার্জিলিং জেলার সান্দাকফু-সহ চন্দ্রু হ্রদে তুষারপাত শুরু হয়। সেই সঙ্গে নামতে শুরু করে পারদ। দেখতে দেখতে বাড়ির চাল, মাঠ, রাস্তা ঢেকে যায় বরফের চাদরে। গাছের পাতায় জমতে শুরু করে সাদা গুঁড়ো। দেখে উচ্ছ্বসিত পর্যটকেরা। ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতেই শুরু করে দেন বরফ ছোড়াছুড়ি। ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন অনেকে।
অন্য দিকে, দার্জিলিং, কার্শিয়াং-সহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। বইছে ঠান্ডা হাওয়া। বৃষ্টির কারণে একটু হলেও মনখারাপ পর্যটকদের। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবারও দার্জিলিং, কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কমবে তাপমাত্রা।
মঙ্গলবার দুপুরে অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। তার প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা-সহ আশপাশের জেলায় আকাশ মেঘলা। বুধবার শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার তা আরও একটু বেড়েছে। নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। দক্ষিণের পাশাপাশি বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরের কিছু অংশেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy