Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Extra marital Affair

Wife Murder Husband: প্রেমিকের সাহ্যয্যে স্বামীকে খুনে অভিযুক্ত স্ত্রী! বারাসতের মনুয়া-কাণ্ডের ছায়া মালদহে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন মালদহ জেলার ইংরেজবাজারের মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদিকুল খান (৪০)।

মৃতের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মৃতের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২ ১২:৪৪
Share: Save:

বারাসতের মনুয়া-কাণ্ডের ছায়া মালদহ জেলার ইংরেজবাজারে। সেখানে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইংরেজবাজার থানার মিলকি ফাঁড়ির অন্তর্গত কাউয়াখোন মোহনপুর এলাকায়। খুনের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতারও করেছে মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন কাউয়াখোন মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদিকুল খান (৪০)। সন্ধান না পেয়ে ১৬ জানুয়ারি মিলকি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার চার দিনের মধ্যে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তেরা হলেন সাদিকুলের স্ত্রী শরিফা বিবি এবং শরিফার প্রেমিক নুর আলম এবং নুর আলমের বন্ধু লালচাঁদ শেখ।

পুলিশ জানিয়েছে, নুর আলম এবং লালচাঁদকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর পর শরিফাকে সামনে বসিয়ে জেরা করতেই খুনের বিষয়টি সামনে আসে। তার পর বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামেরই একটি বাগান থেকে সাদিকুলের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছেন কি না তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

ঘটনা নিয়ে ইংরেজ বাজার থানার আইসি আশিস দাস বলেছেন, ‘‘এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। আমরা লক্ষ করি, সাদিকুলের নিখোঁজের পর পরিবারে লোকেরা উদ্বিগ্ন হলেও, তাঁর স্ত্রীর কোনও হেলদোল ছিল না। সন্দেহ হওয়ায় আমরা তাঁকে জেরা করি। তার পর ঘটনা সামনে আসে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Extra marital Affair Englishbazar murder case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE