Advertisement
E-Paper

স্ত্রী’র মারে অসুস্থ স্বামী, অভিযোগ কোচবিহারে

পাশাপাশি, তাঁদের পরিবারের একাংশের অভিযোগ, শিক্ষকের জামাইবাবু ভক্তিনগর থানার সাব ইনস্পেক্টর। শিক্ষকের বাবা-মা তাঁর কথামতোই চলছেন। যদিও ওই অফিসারের দাবি, ‘‘আমরা শ্যালকের পরিবার জোড়া দিতে চাইছি। এটা পুরোটাই আমার ব্যক্তিগত বিষয়।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ০৩:৩০

স্বামীকে মারধর এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ডাউয়াগুড়ি এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৩০ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়েন পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক স্বামী। তাঁকে প্রথমে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে, পরে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়।

প্রহৃত শিক্ষকের বাবা পূর্ত দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী অবশ্য গত সোমবার কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় পুত্রবধূর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও তরুণীর পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তরুণীর বাবার বক্তব্য, ‘‘ওদের সংসারটা ভেঙে যাক, তা চাই না। তাই পুলিশে যাইনি।’’ তবে তাঁদের কথায়, ‘‘জামাইয়ের পরিবারই মেয়ের উপর অত্যাচার করেছে। ওকে ঠিকমতো খেতে দেয় না। বাড়ি থেকে টাকা আনার কথাও বলেছে ওরা। বাধ্য হয়ে দু’সপ্তাহ আগে মেয়ে আমাদের কাছে চলে এসেছে।’’

পাশাপাশি, তাঁদের পরিবারের একাংশের অভিযোগ, শিক্ষকের জামাইবাবু ভক্তিনগর থানার সাব ইনস্পেক্টর। শিক্ষকের বাবা-মা তাঁর কথামতোই চলছেন। যদিও ওই অফিসারের দাবি, ‘‘আমরা শ্যালকের পরিবার জোড়া দিতে চাইছি। এটা পুরোটাই আমার ব্যক্তিগত বিষয়।’’

শিক্ষকের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে চাকরির নথিপত্রে ‘নমিনি’ বদলের দাবি তোলেন তরুণী। স্বামীর বেতনের বেশিরভাগ টাকাই তিনি নিয়ে নেন। স্বামীকে নিয়ে আলাদা থাকার প্রস্তাবেও রাজি হননি ওই তরুণী। আরও অভিযোগ, সম্প্রতি সিকিমে বেড়াতে গিয়ে স্বামীকে মারধর করেন ওই তরুণী। শিক্ষকের পরিবারের বিরুদ্ধে অবশ্য পাল্টা অভিযোগ রয়েছে তরুণীর পেশায় ঠিকাদার বাবার। তাঁর দাবি, ‘‘অভিযোগগুলি সঠিক নয়। ওঁরা এখন নানা কথা বলছেন। আসলে ওরা ভালবেসে বিয়ে করায় ছেলের বাবা-মা আমাদের মেয়েকে মেনে নিতে পারছেন না।’’

গত ডিসেম্বরে ওই শিক্ষকের সঙ্গে বক্সিরহাটের বাসিন্দা তরুণীর বিয়ে হয়। তাঁর পরিবারের দাবি, সোশ্যাল সাইটে পরিচয়ের পর দু’জনের মধ্যে কয়েকমাসের সম্পর্ক ছিল। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। শিক্ষকের বাবা বলেন, ‘‘দু’জন একসঙ্গে ভাল করে থাকুক, তাই চেয়েছি।’’ শিলিগুড়ির নার্সিংহোমের চিকিৎসক দীপালি ভৌমিক জানান, রোগীর প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল। রক্তচাপের সমস্যা ছিল। বাড়িতে টানা বিশ্রাম এবং ওষুধপত্রের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’

সম্প্রতি শিলিগুড়ি শহরের ডাবগ্রামেও সম্পত্তির জন্য বাড়ি থেকে স্বামীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তি বাড়ির সামনে অনশনেও বসেছিলেন।

Wife Man
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy