আখতারি খাতুন।
প্রথমে ভুল নম্বরে ফোন। সেখান থেকে দু’জনের মন দেওয়া নেওয়া। তার পর বিয়ে। কিন্তু এখন তরুণীকে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ তরুণের বিরুদ্ধে। নাছোড় তরুণীও৷ তরুণের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসেছেন তিনি। আন্দোলনের জেরে বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে তরুণের পরিবার। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের গিধিনপুকুর গ্রামে। তরুণ-তরুণীর প্রেমের পরিণতি কোন দিকে গড়ায় সে দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে গোটা গ্রাম।
বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই মিঠাপোখর গ্রামের বাসিন্দা বাবুল হকের মেয়ে আখতারি খাতুন (২৫)-এর দাবি, তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে গিধিনপুকুরের বাসিন্দা নৌশাদ আলির ছেলে মাজিরুল ইসলামের। আখতারির বক্তব্য, ‘‘আমাকে মাজিরুল দেড় বছর আগে বিয়ে করেছে। তার আগে বছরখানেক প্রেম করেছে। ও আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছে না। আমি ওর বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ধাক্কা মেরে বার করে দিল। ভুল নম্বরে ফোন করেছিল মাজিরুল। সেই থেকে আমাদের প্রেম এবং বিয়ে। ও বলেছিল আমি সাবালক। তোকে বিয়ে করব। কোনও অসুবিধা নেই। আমাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক।’’
মাজিরুলের মা নুরসেবা বিবি অবশ্য দাবি করেছেন তাঁর ছেলে নাবালক। তিনি বলছেন, ‘‘বিয়ের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। ১৫ বছরের ছেলেকে বিয়ে করলে হবে? মেয়ের বয়স বেশি। ও তো বিয়ের কোনও প্রমাণও দেখাতে পারছে না।’’ আখতারির পাল্টা দাবি, ‘‘আমাদের বিয়ে হলেও, মৌলবি এখন বিয়ের কাগজপত্র দিতে অস্বীকার করছেন।’’
স্ত্রীর মর্যাদা পেতে মাজিরুলের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন আখতারি। সঙ্গে রয়েছে মাজিরুলের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy