স্ত্রীয়ের মর্যাদা চেয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ঠায় বসে মহিলা। নিজস্ব চিত্র।
ন’মাস আগে রেজিস্ট্রি করে বিয়ের পরেও স্বামীর ঘরে ঠাঁই হয়নি স্ত্রীর। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে বাড়ির বউ বলে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তাই স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন মহিলা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক থানার মথুরাপুরের কাহারপাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে মানিকচক থানার পুলিশ এসে ওই মহিলাকে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জয়ন্তী সরকার নামে ওই মহিলা জানান, তিনি ডিভোর্সি। এই কথা জানার পরও পার্থপ্রতিম রায় নামে ব্যক্তি তাঁকে বিয়ে করেন। রেজিস্ট্রি করে বিয়ের পরও নানা অছিলায় পার্থ তাঁকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাননি। বারবার শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইলেও তাঁকে প্রায় জোর করে বাপের বাড়িতে থাকতে বাধ্য করেন পার্থ, দাবি জয়ন্তীর। অবশেষে বুধবার সকালে পার্থের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন জয়ন্তী।
জয়ন্তীর কথায়, ‘‘আমি ডিভোর্সি। তার পর ও আমার জীবনে আসে। বলে, আমাকে ভালবাসে। আমি বলেছি, ‘তোমার পরিবার মানবে না।’ তার পরও ভালবাসার কথা বলে সিঁথিতে সিঁদুর দিল। বলেছিল, ‘ভালবাসার জন্য জীবন দিয়ে দেব।’ এখন ওর বাড়ির কেউ মানছে না। ওর বাবা বলছে, ছেলে ঠিক করেছে! ও পালিয়েছে।’’
অন্য দিকে, পার্থের পরিবারের সদস্যরা জানান, ছেলে বাড়িতে নেই। জয়ন্তীর অভিযোগ, পার্থকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ‘লুকিয়ে’ রেখেছেন। কেন তিনি স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন! স্ত্রীর অধিকার না দিলে ধর্না থেকে উঠবেন না বলে জানান তিনি।
পার্থের দিদির দাবি, জয়ন্তী ভিত্তিহীন দাবি করছেন। তাঁর ভাই বিয়ে করেননি। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, জয়ন্তীর বাড়ির লোকজন তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। যা ব্যবস্থা নেওয়ার পুলিশ নেবে।’’ মানিকচক থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy