Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Durga Puja 2020

দেরিতে খাবার কর্মীদের, ঘাটে বন্ধ বিসর্জন

উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, এক একটি প্রতিমা বিসর্জন করতে কর্মীদের ২০-২৫ মিনিট করে সময় লাগছে। এমন অবস্থায় ঘন্টাখানেকের কর্মবিরতিতে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ঘাটে লম্বা লাইন পড়ে যায়।

বিরতি: বিসর্জন থমকে ইংরেজবাজার শহরের মিশনঘাটে। নিজস্ব চিত্র।

বিরতি: বিসর্জন থমকে ইংরেজবাজার শহরের মিশনঘাটে। নিজস্ব চিত্র।

অভিজিৎ সাহা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৩০
Share: Save:

সকাল থেকে দুপুর গড়ালেও খাবার না পেয়ে ঘন্টাখানেকের জন্য বিসর্জন প্রক্রিয়া বন্ধ করলেন কর্মীরা। বুধবার দুপুরের ওই কর্মবিরতির জেরে প্রতিমার লাইন পড়ে যায় মালদহের ইংরেজবাজার শহরের মিশনঘাটে। একাধিক পুজো কমিটির লোকজনের ভিড়ে উধাও হয় সামাজিক দূরত্ববিধিও। পুরসভার হস্তক্ষেপে ফের কাজ শুরু করেন কর্মীরা।

ইংরেজবাজার শহরে মিশনঘাট, গোসাইঘাট, নিমাইসরা এবং কোঠাবাড়ি— চারটি ঘাট প্রতিমা বিসর্জনের জন্য তৈরি করেছে পুরসভা। মিশনঘাটে সব থেকে বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মিশনঘাটে বিসর্জনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি সংস্থাকে। সেই সংস্থার অধীনে ৩০ জন কর্মী প্রতিমা বিসর্জনের কাজ করছেন। তাঁদের বক্তব্য, সকাল থেকেই ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হচ্ছে। রাত পর্যন্ত তা চলছে। এ দিন দুপুর আড়াইটে বেজে গেলেও তাঁদের খাবার দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করেন তাঁরা।

এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ মিশনঘাটে দেখা যায় প্রতিমার লাইন। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, এক একটি প্রতিমা বিসর্জন করতে কর্মীদের ২০-২৫ মিনিট করে সময় লাগছে। এমন অবস্থায় ঘন্টাখানেকের কর্মবিরতিতে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ঘাটে লম্বা লাইন পড়ে যায়। ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “ঘটনাটি শুনেই কর্মীদের দ্রুত খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” ঠিকাদার সংস্থার দাবি, খাবার প্যাকেট-বন্দি করতেই দেরি হয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বিকেল পর্যন্ত মিশনঘাটে ৩৬টি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। পুরাতন মালদহ শহরের স্কুলপাড়া এলাকার মহানন্দার ঘাটেও প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। শহরের পাশাপাশি হবিবপুর ব্লকের সমস্ত প্রতিমাই এ দিন বিসর্জন দেওয়া হয়।

অভিযোগ, শহরে না হলেও গ্রামীণ এলাকাগুলিতে শোভাযাত্রা করেই প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছে। আর উদ্যোক্তাদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক ছিল না। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “সর্বত্রই পুলিশি নজরদারি চালানো হয়েছে। কেউ আইন ভেঙে থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja 2020 Immersion Engrejbazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE