Advertisement
E-Paper

ক্ষোভ কমাতেই তৃণমূল ফেরাল যুব সভাপতিকে

দলে ক্ষোভ সামাল দিতে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা যুব সভাপতি সুনির্মলজ্যোতি বিশ্বাসকেই ফের স্বপদে ফিরিয়ে আনা হল। ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তপনের বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদাকে। রবিবার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের নির্দেশে কুশমন্ডির নেতা সুনির্মলজ্যোতিবাবু জেলা তৃণমূল যুব সভাপতির পদে বহাল হলেন বলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র ঘোষণা করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৪ ০১:৩৫

দলে ক্ষোভ সামাল দিতে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা যুব সভাপতি সুনির্মলজ্যোতি বিশ্বাসকেই ফের স্বপদে ফিরিয়ে আনা হল। ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তপনের বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদাকে। রবিবার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের নির্দেশে কুশমন্ডির নেতা সুনির্মলজ্যোতিবাবু জেলা তৃণমূল যুব সভাপতির পদে বহাল হলেন বলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র ঘোষণা করেন। দলীয় সূত্রের খবর, ৩০ মে দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা যুব সভাপতি সুনির্মলজ্যোতিবাবুকে সরিয়ে তপনের বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদাকে বসানো হয়। বাচ্চুবাবু আবার জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদের চেয়ারম্যান। দীর্ঘ দুবছর ধরে তৃণমূল জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাট্যকর্মী সুনির্মলজ্যোতিবাবু লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের নির্বাচনী এজেন্টও ছিলেন। লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভের পরে সুনির্মলবাবুকে জেলা যুব সভাপতি পদ থেকে সরানোয় পিছনে জেলায় নেতাদের নিজেদের মধ্যে চাপানউতোরের অভিযোগও ওঠে। এ দিন গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক চলাকালীন মুকুল রায় বিপ্লব মিত্রকে এসএমএস করে যুব সভাপতির পদে সুনির্মলবাবুর পুর্নবহালের কথা জানান।

জেলা সভাপতি বিপ্লববাবু বলেন, “তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি বাচ্চু হাঁসদাকে করা হয়েছিল। মুকুল রায়ের নির্দেশে সুনির্মলবাবুকে যুব সভাপতি করা হয়।” এতে দলে ক্ষোভবিক্ষোভের অবসান হল বলে বিপ্লববাবু স্বীকার করেছেন। অন্য দিকে, বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “জেলা কমিটির বৈঠক থেকে ওই সিদ্ধান্তের কথা শুনেছি। তবে রাজ্যস্তর থেকে কোনও খবর পাইনি।” আগামী মঙ্গলবার আমাকে তৃণমূল ভবনে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। এই ঘটনায় যে বার্তা সর্বস্তরে গেল, তাতে দলের ক্ষতি হবে বলে বাচ্চুবাবু অভিযোগ করেছেন।

১৫ দিন সরে থাকার পর ফের পদ ফিরে পাওয়ার বিষয়ে জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি সুনির্মলবাবু বলেন, “দলের নির্দেশে কাজ করে যাব। রাজ্য নেতৃত্বকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। তাই পরিবর্তন হয়েছিল। তবে এখন এ সব কিছু নিয়ে ভাবছি না।” জেলার রাজনীতিতে সুনির্মলবাবু বিপ্লববাবুর ‘কাছের’ লোক বলেই পরিচিত রয়েছে। তবে জেলার বাসিন্দা কাউকে প্রার্থীর বদলে অর্পিতার বালুরঘাট থেকে দাঁড়ানোর পিছনে সুনির্মলবাবু সক্রিয় ভূমিকা ছিল। অর্পিতাদেবীর বিরাট ব্যবধানে জয়ের পর জেলার ক্ষমতাসীন নেতাদের একাংশ যা ভাল চোখে দেখনেনি বলে অভিযোগ। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই নিয়ে জেলার নেতারা মন্তব্য করতে চাননি।

tmc youth leader balurghat sunirmal jyoti biswas
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy