এই পোশাকে টহল ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের কমব্যাট ফোর্সের উর্দি পরিয়ে মেলায় টহলদারি করানোর অভিযোগে বির্তক তৈরি হয়েছে মালবাজারের ক্রান্তিতে। শুক্রবার থেকে ক্রান্তিতে ভান্ডারি মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। তাঁদেরই মধ্যে কয়েকজনকে মাথায় কালো ফেট্টি বাঁধা, সেনা বাহিনীর জওয়ানদের ইউনিফর্মের আদলে তৈরি জংলা রঙের উর্দিতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের হাতে ফাইবারের লাঠিও ছিল। সেনা বাহিনীর উর্দি হলেও, সাধারণত রাজ্য পুলিশের যে কর্মীরা কমব্যাট প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাঁদেরই ওই পোশাক দেওয়া হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ওই পোশাকে দেখে মেলায় আসা অনেকেই তাঁদের কমব্যাট ফোর্সের জওয়ান বলে ভুল করেন। এই ঘটনায় পুলিশ কর্মীদের মধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়। রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বা সাধারণ কনস্টেবলদেরও যে পোশাক ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না, সেই পোশাক সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া হল কেন সে প্রশ্নও উঠেছে।
জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়াররা কখনওই কমব্যাট জওয়ানদের মতো জংলা উর্দি ব্যবহার করতে পারেন না। ক্রান্তির মেলায় কী হয়েছিল খোঁজ নিচ্ছি।” পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যদি সিভিক ভলান্টিয়াররা জংলা পোশাক ব্যবহার করে থাকেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের কেউ সিভিক ভলান্টিয়ারদের সেই পোশাক ব্যবহার করতে দিলে, তাঁর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ হবে বলে জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়াররা যে উর্দি ব্যবহার করেন, তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিস থেকেই থানার মাধ্যমে সরবারহ করা হয়। থানা ভেদে ইউনিফর্মের রঙও পাল্টে যায়। তবে সাধারণত এক রঙের উর্দিই সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে কার অনুমতি নিয়ে সেই সিভিক ভলান্টিয়াররা নিজেদের উর্দি ছেড়ে জংলা রঙের পোশাক পড়লেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এ দিনের মেলাতে কমব্যাট ফোর্সের জওয়ানরাও ছিলেন।
এ দিন অবশ্য ক্রান্তির ফাঁড়ি এলাকার অন্য সিভিক ভলিন্টিয়াররা নিজেদের উর্দিতেই ছিলেন। কমব্যাট ফোর্সের উর্দি পরা সহকর্মীদের দেখে অন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাসাহাসি করতেও দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy