Advertisement
E-Paper

গোষ্ঠী-সংঘর্ষ নিয়ে খোঁজ জেলাশাসকের

হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক তাপস চৌধুরী। মঙ্গলবার বালুরঘাটে সবলা মেলা নিয়ে জেলার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের পরেই হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি পঞ্চানন বর্মনের কাছে আলাদাভাবে ওই সংঘর্ষের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য চান জেলাশাসক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৩৮

হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক তাপস চৌধুরী। মঙ্গলবার বালুরঘাটে সবলা মেলা নিয়ে জেলার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের পরেই হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি পঞ্চানন বর্মনের কাছে আলাদাভাবে ওই সংঘর্ষের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য চান জেলাশাসক।

সোমবার সমিতির অফিসে সভা চলার সময়ে টেন্ডার কমিটিতে বিরোধীরা থাকবে কিনা তা নিয়ে শাসক দল তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘটনায় জখম হন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সহ অনান্যরাও। এই প্রসঙ্গে পঞ্চাননবাবু বলেন, “পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের ভূমিকা কী ছিল তা জেলাশাসককে জানানো হয়েছে।” সভা ভন্ডুলের উদ্দেশ্যে বহিরাগতদের ডেকে এনে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভাশিসবাবু মারপিট করেন বলেও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান তিনি। যদিও,এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক তাপস বাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

সোমবারের ঘটনার জেরে জেলায় শাসক দলের অন্দরেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র দিনভর ফোন তোলেননি। যদিও, দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে যাতে বির্তক না বাড়ে, তার জন্য হরিরামপুরে নিজের ঘনিষ্ঠ নেতাদের জেলা সভাপতি নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সাধারণ সভায় টেন্ডার কমিটিতে বিরোধী সদস্যরা থাকবে কিনা তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতা-সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। সেটিই সংঘর্ষের আকার নেয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। উভয় পক্ষই থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়ে এখনই পুলিশকে সক্রিয় না হতে শাসক দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে সোমবারের ঘটনার পরে রাতেই পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভাশিস ওরফে সোনা পাল কলকাতায় রওনা হন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। তার অনুগামী হামিদুর রহমান বলেন, “সোমবারের ঘটনায় ধাক্কাধাক্কি ও উত্তেজনার জেরে সুভাশিসবাবুর শরীর খারাপ হয়। কিডনিতে ব্যথা হতে থাকে।” দলীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই শুভাশিসবাবু উচ্চরক্তচাপ সহ একাধিক রোগে ভুগছেন।

balurghat group clash tmc harirampur panchayat tapas chowdhury
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy