Advertisement
E-Paper

চা চাষিদের বাঁচাতে অস্ত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীই

চায়ের গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্ষুদ্র চা চাষিদের ফড়েদের হাত থেকে বাঁচাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকেই হাতিয়ার করতে উদ্যোগী হয়েছে দিল্লির সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২৪

চায়ের গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্ষুদ্র চা চাষিদের ফড়েদের হাত থেকে বাঁচাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকেই হাতিয়ার করতে উদ্যোগী হয়েছে দিল্লির সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স। লক্ষ্যপূরণে দেশের পাঁচটি রাজ্যে ক্ষুদ্র চা চাষিদের নিয়ে কর্মশালা শুরু করেছে দু’টি সংস্থা। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির রাজারহাট মোড়ে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার দু’শো চাষিকে নিয়ে কর্মশালা হয়। কেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করা জরুরি এবং সেটা কেমন করে করতে হবে সেই বিষয়ে এ দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনের অধিকর্তা জে জন বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সাহায্যে ভারতে ক্ষুদ্র চা চাষিদের ৬০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা হলে পাতার দাম এবং গুণগত মান নিয়ে চাষিদের সমস্যায় পড়তে হবে না। পাতা উত্‌পাদন থেকে নিজস্ব কারখানায় চা তৈরি করার কাজ চাষিরা সামলাতে পারবেন। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে ক্ষুদ্র চা চাষির সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। জলপাইগুড়ি জেলায় রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার চাষি।

কিন্তু উত্তরবঙ্গের মাত্র ১৫ হাজার চাষিকে ৬০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় ক্ষুদ্র চা চাষিদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে ৪৬টি। মাত্র সাত হাজার চাষি ওই গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত। সংস্থার সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “২০১৬ সালের মধ্যে উত্তরবঙ্গে ক্ষুদ্র চা চাষিদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। ওই কারণে কর্মশালা করে চাষিদের পরামর্শ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।”

সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের যে পাঁচটি রাজ্যে ক্ষুদ্র চা চাষিদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলা হবে, সেগুলি হল পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, অরুণাচল প্রদেশ এবং মিজোরাম। সংস্থার কর্তারা জানান, বিশ্বের বাজার ধরার জন্য চায়ের গুণগত মান রক্ষা করা জরুরি। সেটা কোনও এক জন চাষির একক প্রচেষ্টায় সম্ভব নয়। পাতা উত্‌পাদনের পরে চাষিদের ফড়েদের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে। কখনও বটলিফ কারখানাগুলির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠী থাকলে একদিকে কাঁচা পাতার গুণগত মান রক্ষা করা সহজ হবে। অন্যদিকে, নিজস্ব কারখানা গড়ে চা উত্‌পাদন করে সরাসরি বাজারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। চাষিদের ক্ষতি হওয়ার বিপদ থাকবে না। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্সের সভাপতি বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি তিনটি কারখানা গড়ে তুলেছে। তার মধ্যে ময়নাগুড়িতে রয়েছে দু’টি। সদর ব্লকে একটি এক্ষেত্রে চাষিরা লাভবান হয়েছে।”

mayanaguri tea
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy