Advertisement
E-Paper

ছাত্রী খুনে ধরা পড়েনি কেউ, ক্ষোভ

মালদহের চাঁচলের কলিগ্রামে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা বাদেও কেউ ধরা না-পড়ায় এলাকা জুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়া-সহ অভিভাবকরাও। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পথে নেমে আন্দোলনে নামা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১৯

মালদহের চাঁচলের কলিগ্রামে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা বাদেও কেউ ধরা না-পড়ায় এলাকা জুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়া-সহ অভিভাবকরাও। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পথে নেমে আন্দোলনে নামা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি স্থানীয় গার্লস স্কুল থেকে মাত্র ২৫০ মিটার দূরের একটি মদের ঠেকের পাশ থেকে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঠেকটির লাইসেন্স রয়েছে বলে দাবি করেছে ঠেক মালিক।

কিন্তু স্কুলের অদূরে কীভাবে ওই ঠেকটি চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু ওই ঠেকটিই নয়। কলিগ্রাম এলাকায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদিখানার দোকানে আরও একাধিক মদের ঠেক চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর তার জেরে এলাকায় হামেশাই নানা অসামাজিক কাজকর্ম চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে ধর্ষনের পর তাই ফের ওই ঠেকগুলি নিয়ে পঞ্চায়েত কর্তা ও বাসিন্দাদের পাশাপাশি সরব হয়েছে তৃণমূলও। তৃণমূলের তরফে তো তিনদিনের মধ্যে ঠেকগুলি তুলতে পুলিশকে কার্য়ত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্য় বলেন, “ঘটনাস্থলের পাশের ওই মদের দোকানের লাইসেন্স রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তা সঠিক কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বালিকাকে খুনের ঘটনায় এখনও কেউ ধরা পড়েনি। তদন্ত চলছে।”

গত মঙ্গলবার ভাইকে নিয়ে মাঠে খড় আনতে যায় বছর তেরোর ওই বালিকা। স্কুলে টাকা বিলি করা হচ্ছে ও সেই টাকা নিতে তাকে স্কুলে যেতে হবে বলে ফুঁসলিয়ে ওই বালিকাকে এক সাইকেল আরোহী বালিকাকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। রাতভর নিখোঁজ থাকার পরে হরিশ্চন্দ্রপুরের লক্ষণপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে বুধবার বালিকার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্ষণের পর নির্যাতন করে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার একটি মদের ঠেকের পাশ থেকে বালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। বালিকার দেহ উদ্ধারের পর সেখানে যান পুলিশকর্তারা। তারপর এদিনও ওই এলাকায় তদন্তে যান পুলিশকর্তারা।

কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য বাহারাম খান বলেন, “ওখানে তাড়ির ঠেকের লাইসেন্স রয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু তা নামেই! সেখানে অবৈধভাবে সকাল থেকে রাত মদের আসর বসে। তাছাড়া ওই জায়গাটি অন্য একজনের! অবৈধভাবে জায়গা দখল করে ঠেকটি চলছে! সব জেনেও পুলিশ নিশ্চুপ! লাইসেন্স থাকলেও তা কোথাকার তা খতিয়ে দেখা উচিত।

কলিগ্রাম হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতা দেবজিত্‌ রায়চৌধুরী বলেন, এভাবে ঠেকগুলো চলতে পারে না! অবৈধভাবে একাধিক ঠেক চলতে থাকায় রাস্তা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারে না। ওই ঠেকগুলি নিয়ে রবিবারের মধ্যে আইসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। না হলে আমাদের পথে নামতে হবে।

chanchal murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy