দলীয় পতাকা পুঁতে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি (কেপিপি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অতুল রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানিয়ে মাটিগাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতেই আলাদা মামলা করেছে। যদিও অভিযুক্ত অতুল রায় দুটি অভিযোগেই অস্বীকার করেছেন। শিলিগুড়ির পুলিশের কমিশনার জগমোহন বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তবে অতুলবাবুর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ওই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ করব।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি লাগোয়া চটহাট, মেডিক্যাল মোড়ের ৩ একর ৭২ ডেসিমেল জমির দখল নিয়ে মালিক ও জমির বর্গাদারদের মধ্যে বিবাদ বাধে। সেখানে অতুলবাবু দলের পতাকা নিয়ে বর্গাদারদের পক্ষ নিয়ে জমির দখল মালিককে ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। জমির মালিক শিলিগুড়ির রবীন্দ্রনগরের বিদ্যুত্ দাস বলেন, “১৯৫৭ সালে আমার বাবা প্রয়াত গোপালবাবু জমিটি কেনেন ১৯৫৭ সালে। তারপর তা বর্গায় দেওয়া ছিল রজনীকান্ত বর্মনকে। ইতিমধ্যে বাবা ও রজনীকান্তবাবু দুজনেই মারা গিয়েছেন। কিছুদিন আগে খবর পাই, রজনীকান্তবাবুর ছেলেরা জমিটি বিক্রি করতে চাইছেন। আর তাঁদের মদত দিচ্ছেন অতুলবাবু। তাই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।”
কেপিপি নেতা অতুলবাবু অবশ্য জানান, তিনি জমির মালিককে চেনেন না। তিনি বলেন, “ওই বর্গাদাররা কেপিপির সদস্য। তাই তাঁরা দলীয় পতাকা লাগিয়েছেন। আমি এর সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত নই।” বর্গাদারদের পক্ষে আইনজীবী অলকেশ চক্রবর্তী বলেন, “বিদ্যুত্বাবুরা দখল হওয়া ওই জমির মালিক নন। তাঁরা এর আগেও একাধিক অভিযোগ করেছিলেন আমার মক্কেলের নামে। আমার মক্কেলরাও অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।”
এ দিন চটহাট মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ওই জমিতে কেপিপি-র অতুল গোষ্ঠীর পতাকা টাঙানো রয়েছে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই জমির মালিকানা নিয়ে গোলমাল চলছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বড় গোলমালের আশঙ্কা করছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। তবে কেপিপির স্থানীয় সমর্থকদের কয়েকজন জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁদের দলকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy