Advertisement
১৯ মে ২০২৪

জমির ‘বিনিময়ে’ বিবাদে হস্তক্ষেপ তৃণমূলের, নালিশ

দুই পক্ষের বিবাদে ফের শাসক দলের হস্তক্ষেপের অভিযোগ শিলিগুড়িতে। মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চললেও ছ’কাঠা জমির ‘বিনিময়ে’, একপক্ষের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া কানকাটা মোড় এলাকার পাঁচ বিঘার ওই জমিটি তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের বিধানসভা এলাকাতেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩৫
Share: Save:

দুই পক্ষের বিবাদে ফের শাসক দলের হস্তক্ষেপের অভিযোগ শিলিগুড়িতে।

মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চললেও ছ’কাঠা জমির ‘বিনিময়ে’, একপক্ষের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া কানকাটা মোড় এলাকার পাঁচ বিঘার ওই জমিটি তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের বিধানসভা এলাকাতেই। সম্প্রতি শিলিগুড়ির একটি আবাসনে দুই পড়শির বিবাদেও শাসক দলের নেতাদের হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল।

ওই এলাকার ৫ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিলিগুড়ির সুভাষপল্লির বাসিন্দা গুরুপদ সরকার ও সিকিমের বাসিন্দা বিজয় অগ্রবাল ও তাঁর আত্মীয় রাজীব অগ্রবাল, ওমপ্রকাশ অগ্রবালদের বিবাদ চলছে। এ নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে মামলাও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গুরুপদবাবুদের তরফে জমির ৬ কাঠা তৃণমূলকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যা তথা বিরোধী দলনেত্রী শিখা চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কান্ত রায়ের নেতৃত্বে ওই জমিতে খুঁটি গেড়ে, সিমেন্ট এনে পার্টি অফিস তৈরি শুরু হয়। ওই বির্তকিত জমিতে কংক্রিটের একটি ঘর দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ওই ঘরটিও ভাঙা শুরু হয়। শিখাদেবী এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে না চাইলেও, স্থানীয় নেতা কান্তবাবু বলেন, “যাঁরা জমির মালিক, আমরা তাঁদের পক্ষেই দাঁড়িয়েছি।” অন্যপক্ষ পুলিশে ফোন করে জানালে, নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ি থেকে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। তবে তৃণমূল নেতাদের হস্তক্ষেপে কোনও ব্যবস্থা না নিয়েই পুলিশ ফিরে যায় বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি অংমু গ্যামসো পাল বলেন, “কেন পুলিশ তাতে হস্তক্ষেপ করল না তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

পুরো ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন অন্য পক্ষের আইনজীবী রাজেশ অগ্রবাল। তাঁর দাবি, জমিটি দশ বছর আগে তাঁর মক্কেল বিজয় অগ্রবাল ও তাঁর আত্মীয় রাজীব অগ্রবাল, ওমপ্রকাশ অগ্রবালরা কিনেছেন। একাধিকবার জমির দখল নিতে গেলে স্থানীয় কিছু লোকের বাধায় তা নেওয়া যায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এ দিন তিনি পাল্টা দাবি করে বলেন, “সপ্তাহ খানেক আগে আবেদন করে জমিটিতে ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছি। এদিন জমিতে ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশকে জানালেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি।”

ওই জমিটি শিলিগুড়ির বাসিন্দা সরকার পরিবারেরই বলে তাঁকে জানানো হয়েছিল বলে মন্ত্রী গৌতমবাবু জানিয়েছেন। এ দিন তিনি বলেন, “মালিক জমি দেওয়ায় তৃণমূলের পক্ষে দলীয় কার্যালয় তৈরি হচ্ছে। জমি যদি তাঁদের না হলে পার্টি অফিস তৈরি বন্ধ করে দেওয়া হবে।” গুরুপদবাবু এ দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাঁর ছেলে সুশান্তবাবুর দাবি, তাঁরাই ওই জমি নিয়ে মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, “শিখা চট্টোপাধ্যায় ও কান্ত রায়রা আমাদের সাহায্য করেছেন। ওঁরা জমি চাওয়ায় ব্যবহার করতে দিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

siliguri tmc complain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE