Advertisement
২১ মে ২০২৪

টিএমসিপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জখম দুই

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দু’জন জখম হয়েছেন। বৃহস্পতিবার কোচবিহার বিটি অ্যান্ড ইভনিং কলেজে ওই ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”

ভাঙচুরের চিহ্ন। —নিজস্ব চিত্র।

ভাঙচুরের চিহ্ন। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:২২
Share: Save:

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দু’জন জখম হয়েছেন। বৃহস্পতিবার কোচবিহার বিটি অ্যান্ড ইভনিং কলেজে ওই ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”

কলেজ সূত্রের খবর, আগামী জানুয়ারি মাসে কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। রাজ্যে সরকার বদলের পর ছাত্র পরিষদের দখলে থাকা ওই কলেজ সংসদ টিএমসিপির দখলে যায়। তৃণমূল নেতা অভিজিত্‌ দে ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত টিএমসিপির সদস্যদের হাতে সংসদের কর্তৃত্ব ছিল। সম্প্রতি শুভজিত্‌ কুণ্ডু তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠরা কলেজের কর্তৃত্ব নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমালের জেরে বেশ কিছুদিন ধরে কলেজে উত্তেজনা রয়েছে। আগেও একাধিকবার দু’পক্ষের সমর্থকেরা গোলমালে জড়িয়ে পড়েন। এ দিনও বচসার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ঘটনার জেরে টিএমসিপির জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী ও রাজ্য সহ সভাপতি রাহুল রায়ের বিরোধ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে বলে দলের কয়েকজন জানিয়েছেন। টিএমসিপির জেলা সভাপতি শুভজিত্‌বাবুর ও রাহুলবাবু অভিজিত্‌ দে ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

অভিজিত্‌ দে ভৌমিক ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, শুভজিত্‌ কুণ্ডুর অনুগামীরা কলেজে হামলা চালায় সংসদের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় টিএমসিপির দু’জন জখম হয়েছেন তাদের নাম বিশ্বজিত্‌ সাহা ও পার্থপ্রতিম সরকার। দুজনকেই কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে পরে মিছিল করে। পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ হয়।

অভিজিত্‌বাবু বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত টিএমসিপি নেতা টুইঙ্কল মোহান্তের অভিযোগ, “শুভজিত্‌ কুণ্ডুুর লোকেরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। আমাদের দু’জনকে মারধর করা হয়। পুলিশকে সব জানিয়েছি। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি শুভজিত্‌ কুণ্ডুুও ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

টিএমসিপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, “শুভজিত্‌বাবুর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওখানে কী হয়েছে খোঁজ নিচ্ছি।” তাঁর অভিযোগ, সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়াই টিএমসিপির রাজ্য সহ সভাপতি রাহুল রায় কিছু ছাত্র নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসে বিক্ষোভ দেখান। ওই বিষয়টি রাজ্য সভাপতিকে জানিয়েছি। টিএমসিপির রাজ্য সহ সভাপতি রাহুল রায় অবশ্য দাবি করেন, তিনি বিক্ষোভে যাননি। রাহুলবাবু বলেন, “কলেজে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে দুই ছাত্রকে মারধর করেছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। জেলা সভাপতির অনুমতি নিয়ে আমাকে কিছু করতে হবে এমন ব্যাপার নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmcp cooch behar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE