ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত শাসক দলের দুই নেতাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সে প্রশ্ন তুলে মিছিল করল অল ইন্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন।
বৃহস্পতিবার দিনহাটায় মিছিল করে তারা মিছিলের পরে দিনহাটা থানার আইসি এবং মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দিন দিনহাটা হাসপাতালে গিয়ে ধর্ষিতা ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্যেরা। আগামী কাল তাঁরাও মিছিলের ডাক দিয়েছেন। দিনহাটায় পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় ৩ জন অভিযুক্তের মধ্যে সন্তোষ বর্মন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জন আজিজার রহমান এবং প্রদীপ বর্মনকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। আজিজার তৃণমূলের মাতালহাট অঞ্চল কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ওই কিশোরীর মা। প্রদীপবাবু তৃণমূলের ভেটাগুড়ি অঞ্চলের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। তাতে যেমন তথ্য উঠে আসবে, সেঅ হিসেবে গ্রেফতার করা হবে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতা ওই কিশোরীর বাড়ি মাতালহাটের ভলকা-পুটিমারিতে। বছর সতেরোর মেয়েটি শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, গত ৩ ফেব্রুয়ারি স্কুলের টিফিন পিরিয়ডে তাকে তুলে নিয়ে যায় সন্তোষ। এক দিন আলিপুরদুয়ারের হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করে তাঁকে পরের দিন মাতালহাটে ফিরে আজিজারের বাড়িতে তোলে। সেখানে ওই কিশোরীকে একটি ঘরে আটক করে রাখা হয়। সেই সময় সেখানে প্রদীপবাবু ছিলে। সেখানে আজিজার তাকে ধর্ষণ করে বলে কিশোরীর দাবি। রবিবার ওই ঘটনার কথা সবাইকে জানায় ছাত্রী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সন্তোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু বাকি দু’জনকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, শাসক দলের নেতা বলেই পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযুক্ত দুই নেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন শাসক দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর দাবি, বিরোধীদের চক্রান্তের শিকার হয়েছে ওই দু’জন। তাঁরা নির্দোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy