শিলিগুড়ির বাগডোগরার গোঁসাইপুরে সেলস ট্যাক্স চেকপোস্টের সামনে পুলিশকর্মীদের মারধরের ঘটনার দু’দিন পরেও অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতারা গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন সেখানকার কর্মীদের একাংশ।
অভিযোগ, ওই রাতে ওই পুলিশকর্মীদের বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেন টিএমসিপি নেতারা। গালিগালাজ, ভাঙচুরের মতো ঘটনার পরেও ওই নেতাদের গ্রেফতার করতে না পারার আক্ষেপ এখনও যাচ্ছে না। ওই পুলিশকর্মীদের।
তাঁদের একাংশের দাবি, কয়েকজনকে ধরা হলে টিএমসিপির কয়েকজন নেতা পুলিশকর্মীদের ‘তুই’ সম্বোধন করে গালি দেন। ফলে রাজনৈতিক চাপেই অভিযুক্তদের ছেড়ে দিতে হয়েছে বলে পুলিশের একাংশের অভিযোগ।
পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে। তবে ওরা সম্ভবত পুলিশের পোশাক পরে না থাকার জন্যই বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। সে কারণেই বিষয়টি এতদূর গড়িয়েছে। তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
যদিও পুলিশেরই একটি সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত নাম করে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাঁরা ছাড়াও আরও বেশ কিছু নেতা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। শিলিগুড়ির পুলিশ কর্তাদের একাংশ ঘটনায় যুক্ত সমস্ত তৃণমূল ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের গ্রেফতার করার পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু উপর মহল এবং রাজনৈতিক চাপের কারণেই তাদের গ্রেফতার করা যায়নি বলে আক্ষেপ এক পুলিশ কর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে চেক পোস্টে ট্রাক চালককে পেটানোর সময়ে টিএমসিপির নেতাদের বাধা দেন পুলিশকর্মীরা। তাঁকে মারধর করা হয়। তখন সেলস ট্যাক্স বিভাগের তারপরে আরও পুলিশ আনার জন্য অনুরোধ করা হয়। পুলিশ গিয়ে কয়েকজন নেতাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।
টিএমসিপির জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় জানান, যাদের নামে অভিযোগ উঠেছে রয়েছে প্রমাণিত হলে সংগঠনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনায় অভিযুক্ত আণবিক জোয়ারদার, ব্রতীন ঘোষ, উত্পল সেন ও সন্তোষ রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই চার ছাত্র নেতা-সহ তাঁদের আরও কিছু সদস্য সমর্থক তিন পুলিশকর্মীকে মারধর করে জখম করেন বলে অভিযোগ। রাতেই আণবিক-সহ আরও কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশের একাংশের অভিযোগ, প্রথমে অভিযুক্তদের গ্রেফতারই করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। সেই মত থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক ছিল, পরে ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়া হবে। কিন্তু পরে উপরমহলের চাপে প্রত্যেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরেই পুলিশের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy