বড়দিনে ছোটদের মধ্যে চকোলেট বিলি করেই তার খালি প্যাকেটগুলি তুলে একটি ব্যাগে সংগ্রহ করে নিলেন ওঁরা। বৃহস্পতিবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সান্তালাবাড়ি বস্তি এলাকায় পাহাড়ে ঘোরার সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে প্রচার চালায় কলকাতা অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করেন ওই সংস্থার আধিকাংশ সদস্য। সঙ্গে রয়েছে কলেজ পড়ুয়াও। বক্সা পাহাড়ের সৌর্ন্দয ফেসবুকের মাধ্যেম দুনিয়ার সামনে তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার আট সদস্যের ওই দলটি ট্রেকিং করা শুরু করেছে বক্সা সান্তালাবাড়ি থেকে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি জেভি ভাস্কর বলেন, “পর্যটকরা যদি নিজেরাই পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখেন, তা হলে ভালই। অন্যান্য পর্যটকদেরও এই ভাবে এগিয়ে আসা উচিত।
কালচিনির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যুগান্তর পরিবারের সদস্য রামকুমার লামা বলেন, “কলকাতা অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব ও যুগান্তর পরিবার যৌথ ভাবে আদমা, লেপচাখা, জয়ন্তী এলাকায় ট্রেকিংয়ের সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে প্রচার চালাবে।” এ দিন দলটি সান্তালাবাড়ি বস্তি থেকে আদমার উদ্দেশে রওনা দেয়। পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামগুলিতে শিশুদের বড়দিনের উপহার হিসেবে খাতা, কলম ও চকোলেট দেবে তারা। সঙ্গে চলবে প্রচারও।
কলকাতার বাসিন্দা সম্পত সেনগুপ্ত, শাশ্বত ধর, শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়রা জানান, তাঁরা প্রতি বছর বিভিন্ন পাহাড়ে ট্রেকিং করার সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতা, শিকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালান। ফেসবুকে তাদের একটি পেজও আছে। বেশ কয়েক বছর ধরে সংগঠনের সকল সদস্যই এই কাজ করছেন। সম্পতবাবু বলেন, “এখনও অনেকে ডুয়ার্স মানে গরুমারা বা লাটাগুড়ি বোঝেন। বক্সা পাহাড়ের লেপচাখা, আদমা গ্রামগুলি সে ভাবে প্রচারে নেই। আমরা ফেসবুকে ছবির মাধ্যমে তার প্রচার করতে চাই।” গ্রামেও পরিবেশ নিয়ে প্রচার করেন তাঁরা। দলের সদস্য সোমদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমঋতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা সান্তালাবাড়ি বস্তি এলাকায় চকোলেট বিলি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy