বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার কোচবিহারের সাধারণ সম্পাদককে রাস্তায় আটক করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক দল তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে। শনিবার তুফানগঞ্জ থানার নাককাটিগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব দ্বীপোরপাড় এলাকায় ওই ঘটনায় আহত নেতার নাম আবদুল লতিফ শেখ। তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বিজেপির অভিযোগ, ওই দিন সকালে পশ্চিম ধাদিয়ালের বাসিন্দা আবদুল লতিফ শেখ বাড়ি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে পূর্ব দ্বীপোরপাড় এলাকায় সাইকেল নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সে সময় একদল তৃণমূল সমর্থক আচমকা তাঁর রাস্তা আটকে দাঁড়ান। সেখানেই মূহূর্তের মধ্যে তাঁর উপর এলোপাথাড়ি মারধর শুরু হয়। লাঠি, পাথর দিয়েও আঘাত করা হয় বলে দাবি বিজেপির। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা চম্পট দেয়।
আবদুল লতিফ শেখ বলেন, “কেন আমি বিজেপি করছি, সেই প্রশ্ন তুলে আচমকা রাস্তাতেই আমাকে মারধর করা হয়। অল্পের জন্য একটি চোখ রক্ষা পেয়েছে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “এলাকায় দলের সংগঠন চাঙ্গা করতে আবদুল লতিফ ভাল কাজ করছেন।” তাঁর অভিযোগ, ওই আক্রোশেই তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালায়। রবিবার ১২ জন তৃণমূল সমর্থকের নামে ওই ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি বিমল সরকার।
তৃণমূল অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের তুফানগঞ্জ ১ ব্লক সভাপতি ফজল করিম মিঁয়া বলেন, ওই গোলমালে দলের কেউ জড়িত নন। ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে গোলমাল হতে পারে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অভিযোগ, “মদ্যপ অবস্থায় অসুস্থতার জেরে কিছু লোক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রাজনৈতিক হামলার নাটক করছেন। কোনও বিজেপি নেতাকেই মারধরের ঘটনা হয়নি।” বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, ঘটনার তদন্ত হলেই সব স্পষ্ট হবে। তা ছাড়া পুলিশ জখম ওই নেতাকে উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন সকালে দু’পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ থেকে উত্তেজনা ছড়ায় গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy