বিডিও-র বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হওয়ায় তদন্তে নেমেছে জেলা প্রশাসন। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ঘটনা। ভূমিহীন বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরির জন্য গীতাঞ্জলি প্রকল্প-সহ একাধিক ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে বিডিও দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ। লিখিত অভিযোগ-সহ দুর্নীতির ঘটনা ক্যাসেট বন্দি করেও তা প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি। অভিযোগ জানানো হয়েছে নবান্নেও।
পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম প্রধানের অভিযোগ পেয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন বিডিও। মালদহের জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, “বিডিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। মহকুমা প্রশাসন তদন্ত করছে। সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” চাঁচলের মহকুমাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, “মহকুমা প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনই তার পর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।”
সমিতি ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ব্লকে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ১০৪ জন উপভোক্তার জন্য ৭০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ মেলে। ভূমিহীন বা মাটির বাড়ি রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরই ওই প্রকল্পে সুযোগ পাওয়ার কথা। নিয়ম মতো উপভোক্তা নির্বাচনের জন্য ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরেই বিজ্ঞপ্তি ঝোলানোর কথা। কিন্তু তা না করেই বিডিও গোপনে উপভোক্তা নির্বাচন করেন বলে অভিযোগ। সমিতির অভিযোগ, প্রকল্পের উপভোক্তাদের অধিকাংশেরই পাকা বাড়ি। এমনকি প্রচুর জমি রয়েছে। অথচ যাদের পাকা বাড়ি নেই, তারাও এলাকায় সম্পন্ন গৃহস্থ হিসাবেই পরিচিত। সমিতি জানায়, বিষয়টি জানাজানি হতেই তারা এলাকায় গিয়ে নিজেদের মতো করে তদন্ত করেন। বিডিও কৌশিক পাল দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “প্রশাসনকে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হয়। একটা সমস্যা হয়েছিল। তবে তা মিটে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy