বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার পর বিয়েতে রাজি না হওয়ার অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মীকে গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে শহর লাগোয়া পাহাড়পুরের রাজাপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে জাকির হোসেন নামের ওই যুবককে পুলিশ ধরে।
শুক্রবার তাকে জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালতে তোলা হলে বিচারক আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি আশিস রায় বলেন, “যুবতীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, ধৃত জাকির প্রতিবেশী ২০ বছরের এক যুবতীর সঙ্গে দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিয়ে করবে আশ্বাস দিয়ে সহবাস করলেও শেষ পর্যন্ত সমস্ত সম্পর্কের কথা জাকির অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। পেশায় ছোট ব্যবসায়ী যুবতীর বাবা জানান, স্ত্রী মারা গিয়েছে। তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বাড়িতে আরেক মেয়ে থাকে। জাকিরের সঙ্গে ওঁর সম্পর্কের কথা জানতাম না।
তিনি জানান, গত বুধবার জাকির মেয়েকে নিয়ে যায়। এলাকার কয়েকজন তিস্তা নদীর চরে দু’জনকে দেখার পরে হইচই শুরু হয়। পরে জানতে পারি, ওরা দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করছে। মেয়েও জাকিরকে ছাড়া বাঁচবে না জানায়। তাঁর অভিযোগ, “এলাকার লোকজনকে নিয়ে জাকিরের বাড়িতে যাই। ওই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। এমনকি, জাকিরও মুখ ফিরিয়ে নেয়। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।”
ধৃত যুবক জাকির ঘটনা নিয়ে বিশদে কিছু বলতে চাননি। আদালতের হাজতে নেওয়ার মুখে তিনি শুধু বলেন, “আমি কিছু জানি না।” কোতোয়ালি থানায় বসে ওই যুবতী দাবি করেন, দেড় বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। ঈদের দিন জাকির আমাকে নিয়ে পালাবে বলে জানিয়েছিল। পরে সেটা আর হয়নি। ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য মোবাইল কিনে দেয়। আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতই মেলামেশা করতাম। ও আমাকে বিয়ে করবে বলেছিল। তাই কোনওদিন সঙ্কোচ করি না। কিন্তু এমন করবে ভাবতে পারছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy