মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী তাঁর কাছ থেকে টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী সঞ্জয় শর্মা। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুবাবু দাবি করেন, সঞ্জয়বাবু বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরি করছেন। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। এ বার সঞ্জয়বাবুর বিরুদ্ধে ফের থানায় একই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে পুলিশ রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করল।
গত বছর ২৩ মার্চ সঞ্জয়বাবু ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ করেন, কৃষ্ণেন্দুবাবু তাঁর কাছ থেকে দু’কোটি টাকা চেয়ে ফোনে হুমকি দিয়েছেন। এরপরেই কৃষ্ণেন্দুবাবু সঞ্জয়বাবুর বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরির অভিযোগ দায়ের করেন। বাড়ির কাজ ফের শুরু করতে সঞ্জয়বাবু সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই অবস্থায়, এ বছর ৭ জানুয়ারি সঞ্জয়বাবুর বিরুদ্ধে ফের পুরসভার পক্ষ থেকে বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরির অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ১০ জানুয়ারি সঞ্জয়বাবুকে থানায় আসতে নোটিস দেয়। নোটিস পেয়ে সঞ্জয়বাবু থানায় গেলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
সঞ্জয়বাবুর স্ত্রী অনুরাধা শর্মা বলেন, “আমাদের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে কারণ তিনি মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।” রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবু জানান, সঞ্জয়বাবু বেআইনি ভাবে বাড়ি করছিলেন, পুরসভার তরফ থেকে বাড়ির কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর তিনি হাইকোর্টেও যান। কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “হাইকোর্টও তাঁকে বাড়ির কাজ বন্ধ রাখতে বলে। কিন্তু আমরা জানতে পারি উনি ফের বাড়ির কাজ করছেন। তারপরে পুরসভার তরফে তদন্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।” মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুরসভার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তিনি থানায় আসার পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রসূনবাবু বলেন, “তখন সঞ্জয়বাবুর কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।” সঞ্জয়বাবুর আইনজীবী দীপক চৌধুরীর দাবি, “পুলিশ ভিত্তিহীন ভাবে আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বাড়ির বাইরের কাজ করছিলেন না। বাড়ির ভিতরের কাজ করছিলেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy