Advertisement
E-Paper

হরিশ্চন্দ্রপুরে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে ক্ষোভ

পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তির জন্য বাড়তি ফি নেওয়া সহ একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক সহ পড়ুয়ারা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কণুয়া ভবানীপুর হাই স্কুলে শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:০৮

পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তির জন্য বাড়তি ফি নেওয়া সহ একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক সহ পড়ুয়ারা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কণুয়া ভবানীপুর হাই স্কুলে শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে। পক্ষান্তরে, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, পরিচালন সমিতির সদস্যদের একাংশ চাঁদা হিসেবে ২০ হাজার টাকা তাঁর কাছে চেয়ে না পেয়ে আড়াল থেকে গোলমাল পাকাচ্ছেন। তবে গোলমাল যাই হোক, স্কুলে তালা ঝোলানো ঠিক নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। জেলা স্কুল পরিদর্শক(মাধ্যমিক) আশিসকুমার চৌধুরি বলেন, “এ ভাবে স্কুলে তালা ঝোলানো ঠিক নয়। ভর্তি ফি ২৪০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যারা তা দিতে পারবেন না তাদের ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থাও স্কুল কর্তৃপক্ষকে করতে হবে।”

যদিও প্রধান শিক্ষক দুর্নীতি ঢাকতে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে পরিচালন সমিতি। স্কুল খুলতেই অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের অফিসঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বাড়তি ফি নেওয়া সহ প্রধান শিক্ষক দুর্নীতিতে যুক্ত বলে গোটা এলাকায় যন্ত্রচালিত ভ্যানে চেপে মাইকে প্রচারও চালানো হয়। ঘটনার জেরে এদিন ওই স্কুলে পঠন-পাঠন হয়নি। প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরকেও বাইরে বসে থাকতে হয়। পরে শনিবার অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়।

প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরীর অভিযোগ, “পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করেই ফি নির্ধারিত হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনেই ফি নেওয়া হচ্ছে। দুদিন আগে পরিচালন সমিতির চার সদস্য আমার কাছে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা পেলে সব সামলে নেওয়া হবে বলে তারা জানান। কিন্তু আমি কোথা থেকে টাকা দেব। টাকা না পেয়ে ওরাই অভিভাবকদের খেপিয়ে এসব করছেন।”

অভিভাবকদের অভিযোগ, এলাকার বেশ কিছু স্কুলে ২০০ টাকা বা তার কমে ভর্তি ফি নেওয়া হলেও এখানে ২৪০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, ডোনেশনের নামে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে ওই টাকায় স্কুলের উন্নয়ন হবে। কিন্তু স্কুলের একাধিক শ্রেণির দরজা-জানালা নেই। অভিভাবকদের সুরেই পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা এলাকার কংগ্রেস নেতা উমেশ সাহা বলেন, “প্রধান শিক্ষক আমাদের কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই ফি নির্ধারিত করেছেন। ছাড়া স্কুলের বিভিন্ন তহবিল থেকে প্রধান শিক্ষক নিজের মতো অর্থ তুলে নয়ছয় করছেন। নিজের ত্রুটি ঢাকতে সদস্যদের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার গল্প ফাঁদছেন।”

chanchal harishchandrapur school agitation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy