বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিচারিকার সঙ্গে সহবাসের মামলায় কয়েক দিন আগেই বাড়ির মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। ১ বছর ২ মাসের কারাবাসের সাজা হওয়ার পাশাপাশি বিচারক দোষীকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছিলেন। আদালত ওই রায় ঘোষণা করার পাঁচ দিনের মাথায় সেই বাড়ির মালিক অমিতকুমার রাজের (৬০) দেহ উদ্ধার হল তাঁর নিজের বাড়ি থেকে।
রবিবার অমিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানার পুলিশ। তাঁকে মকরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য খ়ড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে খবর, যে হেতু অমিতের কারাবাসের সাজা তিন বছরের নীচে ছিল, তিনি এক মাসের জন্য জামিন পেয়েছিলেন। জামিনে মুক্ত থাকার সময়েই ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ১০ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না অমিতের। সেই কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। যদিও মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
প্রসঙ্গত, অমিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা পরিচারিকার দাবি ছিল, ২০০৪ সাল থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করে যাচ্ছিলেন বাড়ির মালিক। বিয়ের কথা বললেই একটা সময়ের পর তিনি এড়িয়ে যেতেন। পরে তাঁকে হুমকি দেওয়াও শুরু করেন। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই পরিচারিকা। সেই মামলাতেই গত মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন অমিত।