নিরাপত্তার দাবিতে চিকিৎসকদের আন্দোলনে সম্প্রতি উত্তাল হয়েছে গোটা রাজ্য। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরেই থেমেছে সেই আন্দোলন। কিন্তু জেলার হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক নিগ্রহের ছবিটা যে বদলায়নি, তার প্রমাণ মিলল বুধবার। এ দিন হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে এক রোগিণীর মৃত্যুকে ঘিরে হাসপাতালের সুপারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিজনের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন শঙ্করী প্রামাণিক নামে রোগীর এক আত্মীয়।
বুধবার সকালে অঞ্জলি প্রামাণিক (৩২) নামে এক মহিলাকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁকে সাপে ছোবল মেরেছিল। ভর্তির ঘণ্টাদুয়েক বাদে অঞ্জলিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলাতিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিজন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের বোঝাতে আসেন সুপার সুমনা দাশগুপ্ত। সেই সময় মৃতার পরিজন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এবং ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ। পরে অন্য চিকিৎসকেরা এসে সুপারকে উদ্ধার করে ভিতরে নিয়ে যান। হাসপাতালে যায় বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং কমব্যাট ফোর্স। তারা বিক্ষোভকারীদের হাসপাতাল চত্বর থেকে হটিয়ে দেয়। রোগীর পরিবারের এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভি সলোমন নেসাকুমার বলেন, ‘‘রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে হলদিয়া হাসপাতালে একটা গোলমাল হয়েছিল। তাতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ এ দিনের ঘটনায় ফের সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy