E-Paper

নাবালিকাকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা, গ্রেফতার নিকটাত্মীয়ই

মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে ওই নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছে অভিযুক্ত। নাবালিকার বয়স তখন বছর দশেক।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩২
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

নবম শ্রেণির পড়ুয়া এক নাবালিকাকে কয়েক বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তারই নিকট আত্মীয় এক যুবককে। শনিবার রাতে পড়শি জেলা মালদহ থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। ধৃতকে রবিবার আদালতে তোলা হলে ১৯ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই নাবালিকা ৪ অগস্ট অ্যাসিড খায়, পরের দিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজে মারা যায়। নির্যাতিতার বাবা ১৭ অগস্ট মুর্শিদাবাদের একটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে ধর্ষণ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে। তার পরে মালদহে অভিযান চালিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের একটি দল ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।

মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে ওই নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছে অভিযুক্ত। নাবালিকার বয়স তখন বছর দশেক। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই যুবকের কাছে তার আপত্তিকর ছবি থাকতে পারে। নাবালিকাকে অভিযুক্ত সেই ছবি প্রকাশ্যে বার করে দেওয়ার ভয় দেখাত বলেও তদন্তে জানা গিয়েছে। সেই আতঙ্কেই ওই নাবালিকা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে সে সব বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে, ওই নাবালিকা প্রথম থেকেই প্রতিটি ক্লাসে প্রথম হত। নিকট আত্মীয়তার সুবাদে অভিযুক্তের যেমন ওই নাবালিকার বাড়িতে যাতায়াত ছিল, তেমনই নাবালিকারও অভিযুক্তের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। একমাত্র কন্যাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের বাবা-মা।

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিদিনই যা নিয়ে আন্দোলন চলছে। এরই মাঝে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও তার আত্মহত্যার ঘটনা সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত। স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করত। মৃতার বাবা একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

arrest Crime

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy