চোর সন্দেহে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। রবিবার সকালে আউশগ্রামের দেবশালার রাঙাখিলা গ্রামে একটি ক্লাবের সামনে শঙ্কর ঘোষ (৪২) নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। তবে এলাকার কেউ ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
রাঙাখিলা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কাঁকসার আড়া গ্রামে বাড়ি শঙ্করবাবুর। পূর্ব বর্ধমানের ডিএসপি (ডিএনটি) অরিজিৎ পালচৌধুরী বলেন, “মনে হচ্ছে, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।’’
বছর দুয়েক ধরে গুজবের জেরে গণপিটুনির নানা ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। পুলিশের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো বা পোস্ট দেখে এই প্রবণতা বেড়েছে। গুজবে কান না দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রচারও হয়েছে। কিন্তু তার পরেও গণপিটুনিতে রাশ পড়েনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে রাঙাখিলার বারোয়ারিতলায় একটি হরিনামের আসরে রাত অবধি দেখা গিয়েছিল শঙ্করবাবুকে। পরে আদিবাসী পাড়ার দিকে চলে যান তিনি। কিছু বাসিন্দার দাবি, গভীর রাতে এলাকায় অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখে চোর সন্দেহে মারধর করা হয়। পুলিশ জানায়, মৃতের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রবিবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাড়া পুরুষশূন্য। বাকিরা মুখ খুলতে নারাজ। প্রতিবেশীরা জানান, বছর চারেক আগে মায়ের মৃত্যুর পর থেকে আড়া গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন শঙ্করবাবু। তাঁর আত্মীয় সুমন্ত ঘোষ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ভাবে অসুস্থ শঙ্করবাবু। টানা চিকিৎসায় মাঝে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অসুস্থতা বেড়েছিল। মাঝে-মধ্যেই বেরিয়ে পড়তেন তিনি। পড়শিদের দাবি, শঙ্কর কখনও কোনও হিংসাত্মক ব্যবহার করেননি। শুধু সন্দেহের বশে তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়ে থাকলে দ্রুত অপরাধীদের ধরার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy