Advertisement
E-Paper

প্রেমিকা কেন বাপের বাড়ি গেল? ওই রোষে লেদার কমপ্লেক্সে খুন স্বামী! রাজার হত্যায় গ্রেফতার সন্ন্যাসী

পুলিশ সূত্রে খবর, রাজার স্ত্রী কুম্ভি মণ্ডলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন ওই এলাকারই যুবক সন্ন্যাসী। কুম্ভির বিয়ের আগে থেকেই তাঁর সঙ্গে সন্ন্যাসীর সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরে রাজা এবং কুম্ভি যেখানে থাকেন, সম্প্রতি সেখানেই ঘরভাড়া করে থাকতে শুরু করেন সন্ন্যাসী।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৫ ১১:৪১

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন মহিলা। তাই নিয়ে তিন জনের মধ্যেই শুরু হয়েছিল অশান্তি। শেষে স্বামী এবং প্রেমিক, দু’জনকেই ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান মহিলা। অভিযোগ সেই রোষেই মহিলার স্বামীকে খুন করেন তাঁর প্রেমিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় যুবকের দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা করল পুলিশ। রাজা মণ্ডলকে খুনের অভিযোগে সন্ন্যাসী দলুই নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবারই তাঁকে আদালতে হাজিরার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

শনিবার সকালে এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল লেদার কমপ্লেক্স থানার কাঁটাতলা এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ কিছু ক্ষণের মধ্যে তাঁর পরিচয় জানতে পারে। তার পর জানা যায়, কে কী কারণে খুন করেছেন রাজাকে। পুলিশ মনে করছে, ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরে খুন করা হয়েছে ওই হোটেলকর্মীকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাজার স্ত্রী কুম্ভি মণ্ডলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন ওই এলাকারই যুবক সন্ন্যাসী। কুম্ভির বিয়ের আগে থেকেই তাঁর সঙ্গে সন্ন্যাসীর সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরে রাজা এবং কুম্ভি যেখানে থাকেন, সম্প্রতি সেখানেই ঘরভাড়া করে থাকতে শুরু করেন সন্ন্যাসী। নতুন করে শুরু হয় তাঁদের প্রেম। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, বছর তিনেক আগে এক বার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েও গিয়েছিলেন রাজার স্ত্রী। হালে স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু এ নিয়ে অশান্তি হতে বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রেমিকা বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার পরে সন্ন্যাসীর রাগ গিয়ে পড়ে রাজার উপরে। এই কারণেই প্রেমিকার স্বামীকে খুন করেছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পরে এই সব তথ্যই পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় নলবনের নির্জন জায়গায় রাজার সঙ্গে দেখা করতে চান সন্ন্যাসী। কথামতো রাজা সেখানে গেলে তাঁকে কুপিয়ে খুন করেন তিনি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেন গলা। শনিবার সকালে পুলিশ যাওয়া পর্যন্ত ওই স্থানেই দেহ পড়েছিল। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ। পাশাপাশি খুনের ঘটনায় ধৃত সন্ন্যাসীকে রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাচ্ছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে তারা।

Extramarital Affair Murder Case arrest Leather Complex Police Station
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy