Advertisement
E-Paper

গাড়ির সিটবেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ! কসবার ব্যবসায়ী খুনে হাওড়া থেকে গ্রেফতার আরও এক, ধৃত বেড়ে পাঁচ

গত ৩১ জানুয়ারি দোকান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সানু রাম নামে ওই ব্যবসায়ী। কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের কাছে জুতোর দোকান রয়েছে তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৭
কসবার ব্যবসায়ী খুনে ধৃত আরও এক অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি।

কসবার ব্যবসায়ী খুনে ধৃত আরও এক অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি।

কসবায় ব্যবসায়ী খুনে আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম রঞ্জন চক্রবর্তী। শুক্রবার ভোরবেলায় হাওড়ার সাঁকরাইলে বাড়ি থেকে রঞ্জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ব্যবসায়ী খুনে আগেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের মধ্যে এক জন নাবালকও রয়েছে। তবে পঞ্চম অভিযুক্ত রঞ্জন পলাতক ছিলেন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার ভোর সওয়া ৪টের সময় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় রঞ্জনকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীকে গাড়ির সিলবেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর বারুইপুরে খালে ফেলে দিয়ে আসা হয়। টাকার জন্য বন্ধুকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে। মৃতের নাম সানু রাম। খুনের অভিযোগ উঠেছে অনুপ মণ্ডল-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে।

গত ৩১ জানুয়ারি দোকান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সানু রাম নামে ওই ব্যবসায়ী। কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের কাছে জুতোর দোকান রয়েছে তাঁর। সানুর স্ত্রীর দাবি, ওই দিন রাত ৮টা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে শেষ বার ফোনে কথা হয়। তখন সানু তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু রাত বাড়লেও বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী।

তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সানুকে শেষ বারের মতো যাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তিনি তাঁর পূর্ব পরিচিত। অনুপ মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ জানতে পারে, সানুর বন্ধু অনুপ। এখানেই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। তা হলে কি দু’জনেই একসঙ্গে নিখোঁজ হয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তর যখন পুলিশ খুঁজছে, তখনই তারা দেখে ব্যবসায়ী সানুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে এক লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, লেনদেন হওয়া সেই টাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে অমিত নস্কর নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। সেই সূত্র ধরে অমিত নস্করকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, একটি কিউআর কোড স্ক্যান করে ওই টাকা তাঁকে পাঠিয়েছেন অনুপ এবং তাঁর এক সঙ্গী। অনুপের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে তাঁর নাগালও পেয়ে যায় তারা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

kasba Murder Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy