ফাইল চিত্র।
বাম ও কংগ্রেসের জোটে আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনার সম্মতি চেয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি পাঠালেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। আব্বাসের সঙ্গে মান্নানের ইতিমধ্যেই ঘরোয়া আলোচনা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেই কথা জানিয়েই আব্বাসের দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) সঙ্গে আনুষ্ঠানিক জোটের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য এআইসিসি-র সম্মতি চেয়েছেন মান্নান। তাঁর মতে, বাম ও কংগ্রেসের জোটে আব্বাসদের অন্তর্ভুক্তি ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে।
সনিয়াকে পাঠানো চিঠিতে বিরোধী দলনেতা মান্নান জানিয়েছেন, আব্বাসদের সভা-সমাবেশে ভাল ভিড় চোখে পড়ছে। সংখ্যালঘু, জনজাতি, দলিত-সহ অনগ্রসর অংশের উন্নয়নের কথা বলে আইএসএফ আত্মপ্রকাশ করেছে। অন্য দিকে, এ রাজ্যে বাংলাভাষী মুসলিমদের মধ্যে কংগ্রেসের যে প্রভাব ছিল, গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে দেখলে তা অনেকটাই ক্ষয়িষ্ণু। মুর্শিদাবাদ, মালদহ বা উত্তর দিনাজপুরের সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলির ফলাফল দেখলেই তা বোঝা যায়। এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে মান্নানের যুক্তি, ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর মধ্যেই আব্বাসের নতুন দল (যার সভাপতি হিন্দু, জনজাতি) সংখ্যালঘু ভোটে আরও ভাঙন ধরালে কংগ্রেসের বিপদ বাড়বে। বরং, বাম ও কংগ্রেস তাদের সঙ্গে নিয়ে মহাজোট তৈরি করতে পারলে রাজনৈতিক সমীকরণের মোড় ঘোরাতে পারবে।
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম আইএসএফের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফেও একই প্রক্রিয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে দলের সভানেত্রীর কাছে। সেলিম বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদে গিয়ে বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস ও অন্য দলের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে কথা এগোচ্ছে। মুর্ষিদাবাদে আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে কয়েকটি আসন ছাড়া হলেও হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy