Advertisement
E-Paper

কুণালের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে ফোন পার্থের, একদা মহাসচিব নাকি কেঁদেও ফেলেছেন! কী কথোপকথন হল দু’জনের?

দু’দিন আগেই বাড়িতে স্নানঘরে পড়ে গিয়ে পা ভাঙে কুণালের। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে বুধবার বিকেলে কুণালকে ফোন করেন পার্থ। বেশ কিছু ক্ষণ কথাও হয় দু’জনের।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০৩
(বাঁ দিকে) কুণাল ঘোষ এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) কুণাল ঘোষ এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

কুণাল ঘোষের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে তাঁকে ফোন করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণালকে ফোন করেন পার্থ। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। কুণাল কী ভাবে পড়ে গেলেন, তা জানতে চান তৃণমূলের একদা মহাসচিব (বর্তমানে দল থেকে নিলম্বিত) পার্থ। সূত্রের খবর, কুণালের সঙ্গে কথা বলতে বলতে কেঁদেও ফেলেন তিনি।

গত সোমবার বাড়ির স্নানঘরে পা পিছলে পড়ে যান কুণাল। ডান পায়ের হাড় ভেঙেছে তৃণমূল মুখপাত্রের। সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিতেই বুধবার বিকেলে কুণালকে ফোন করেন পার্থ। সূত্রের খবর, ওই সময়েই কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন দলের একদা মহাসচিব। প্রাণপণে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি দোষী নন। দলের একটি বড় অংশ তাঁকে ভুল বুঝছে। তিনি কোনও অসাধু কাজের সঙ্গে যুক্ত নন, তা-ও কুণালকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। ওই সূত্রের দাবি, ফোনালাপের সময়ে কুণালও পার্থকে বলেছেন, আপনি এখন এ সব ভাববেন না। আপনি সুস্থ থাকুন। ভাল থাকুন। নিজের যত্ন নিন। শরীরের যত্ন নিন।

এই কথোপকথনের বিষয়ে পরে কুণালের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনিও জানান পার্থ তাঁকে ফোন করেছিলেন। কুণাল বলেন, “উনি আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। কারও কাছ থেকে আমার পা ভাঙার খবর জানতে পেরে, আমার খোঁজ নিতে ফোন করেছিলেন। কথা হয়েছে।” এর বেশি আর কিছু বলতে চাননি কুণাল।

অতীতে চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণালও। চিটফান্ড মামলায় জড়িয়ে পড়া এবং জেলজীবনের পরে কুণালের সঙ্গে পার্থের খুব একটা সখ্য ছিল না বলেই অভিমত তৃণমূলের অন্দরে। কুণালকে নানা ভাবে পার্থ ইঙ্গিতে খোঁচাও দিতেন। সেই সময় পার্থ ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব। এখন সেই পার্থই ফোন করে কুণালের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিলেন। যখন তিনি নিলম্বিত। আর কুণাল দলের মুখপাত্র।

স্নানঘরে পড়ে যাওয়ার পরে গত সোমবারই কুণালকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এখনও সল্টলেকের ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বুধবার রাতে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।

বুধবার হাসপাতালে গিয়ে কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কুণালের হাতে একটি ফুলের স্তবক তুলে দেন তিনি।

বুধবার হাসপাতালে গিয়ে কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কুণালের হাতে একটি ফুলের স্তবক তুলে দেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত।

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান তিনি। ওই চিঠির প্রতিলিপি পাঠান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছেও। কেন তাঁকে দল থেকে নিলম্বিত করা হয়েছে, তা ওই চিঠিতে জানতে চান পার্থ।

দলনেত্রীর কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে এক জায়গায় পার্থ লেখেন, তিনি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছেন যে, তৃণমূল তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। দলনেত্রীর কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘‘দলীয় সংবিধানের কোন ধারায় আমাকে সাসপেন্ড করা হল?’’ তাঁর আক্ষেপ, একই রকম অভিযোগে অভিযুক্ত দলীয় নেতাদের পাশে দল বহু বার দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার বেলা কেন অন্যথা হল। ওই চিঠিতে অভিষেককে ‘নব্য সেনাপতি’ বলেও উদ্ধৃত করেছিলেন পার্থ।

Partha Chatterjee Kunal Ghosh TMC West Bengal Politics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy