জেলমুক্তির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা ভবনে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জোর জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এ বার সেই জল্পনার মাঝেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, পার্থ আর মন্ত্রী নন, ফলে বিধানসভায় তাঁর জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্দ হবে না। সাধারণ বিধায়কদের মতোই নির্দিষ্ট আসনে বসতে হবে তাঁকে।
বুধবার বিধানসভায় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, “পার্থবাবু তো আর মন্ত্রী নন যে আলাদা ঘর পাবেন। তিনি এখন কেবলমাত্র এক জন সাধারণ সদস্য। বিধায়ক হিসাবে সাধারণ সদস্যেরা যে সুযোগ-সুবিধা পান, তিনিও সেই সুবিধাই পাবেন।” প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৩ বছর ৩ মাস ১৯ দিন কারাবাসের পর সম্প্রতি মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন পার্থ। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই তিনি তৃণমূলের মহাসচিব পদ থেকে অপসারিত হন এবং ছয় বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড হন। পাশাপাশি শিল্পমন্ত্রীর পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন:
জেল থেকে মুক্তি পেতেই পার্থ দলনেত্রীকে চিঠি লিখে দলীয় সংবিধানের কোন ধারায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা জানতে চান। এমনকি নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমের মানুষদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠিও প্রকাশ করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিধানসভা সচিবালয়কে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর জেলমুক্তির তথ্য জানানো হয়নি।
ফলে শীতকালীন অধিবেশনের আগে প্রশ্ন উঠছে, তিনি আদৌ অধিবেশনে যোগ দেবেন কি না। তবে যদি যোগ দেন, বিধানসভায় তাঁর প্রতি কর্তৃপক্ষের আচরণ কেমন হবে, সেই বিষয়ে বুধবার স্পিকারের মন্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে গেল যে বাড়তি কোনও সুবিধা বা বিশেষ মর্যাদা পাবেন না পার্থ।
সব মিলিয়ে পার্থের বিধানসভা ভবনে প্রত্যাবর্তন শীতকালীন অধিবেশনকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ যোগ করেছে।