— প্রতীকী চিত্র।
ইতিমধ্যেই দু’টি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। সরকারি হাসপাতালে ওই সংস্থা দু’টির সরবরাহ করা ওষুধ ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলাস্তরের হাসপাতালগুলিকে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে কিংবা স্থানীয় ভাবে ওষুধ কেনার নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। তার জন্য আর্থিক তহবিলও মেডিক্যাল কলেজ, জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলাস্তরের হাসপাতালগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবনের দাবি। কিন্তু অভিযোগ, অনেক জেলাতেই হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করতে চাইছে না ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। ফলে আতান্তরে রোগীরা।
‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ এবং ‘ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিজ়’— এই দু’টি সংস্থা মিলিয়ে প্রায় ২৫ রকমের ওষুধ সরকারি ভাবে সরবরাহ করা হত। এই ওষুধের মধ্যে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট, সাধারণ স্যালাইন ছাড়া রয়েছে খুব জরুরি কিছু অ্যান্টিবায়োটিক। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতালে সরকার সরাসরি ওষুধ সরবরাহ করে, কিংবা সরকারের স্থির করে দেওয়া সংস্থাকে বরাত দিতে হয়। কিন্তু ওই দু’টি সংস্থার উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দু’টি ব্যবস্থাই এখন কার্যকর নয়। বদলে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে সরকারি দামে কিনে নেওয়া কিংবা স্থানীয় ভাবে অন্য জায়গা থেকে ওই সমস্ত ওষুধ কিনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকার পরে শহরের মেডিক্যাল কলেজগুলি স্থানীয় ভাবে ওই সমস্ত ওষুধ কিনে নিচ্ছে। কিন্তু সমস্যায় পড়েছে জেলাস্তরের হাসপাতাল ও সেখানকার মেডিক্যাল কলেজগুলি। কারণ, সেখানে ন্যায্য মূল্যের দোকান ওষুধ সরবরাহ করতে চাইছে না বলে অভিযোগ। জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেন্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে এমনিতেই সমস্যা রয়েছে। কোন সংস্থা থেকে ওষুধ কিনে, পরে আবার কী-বিপাকে পড়বেন, সেই আশঙ্কায় কলেজকর্তারাও ঝুঁকি নিতে চাইছেন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy