Advertisement
E-Paper

সাগর থেকে নদ-নদী, মকর স্নানে পুণ্য সঞ্চয়ে ঢল

নরঘাটে গঙ্গামেলার উদ্বোধন করেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৫৪
নন্দীগ্রামে বাসুলিচকের মেলায় যাওয়ার জন্য ফেরিঘাটে ভিড় পুণ্যার্থীদের। বুধবার সকালে হলদিয়ার পড়িয়ার চকে।  নিজস্ব চিত্র

নন্দীগ্রামে বাসুলিচকের মেলায় যাওয়ার জন্য ফেরিঘাটে ভিড় পুণ্যার্থীদের। বুধবার সকালে হলদিয়ার পড়িয়ার চকে। নিজস্ব চিত্র

মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান উপলক্ষে বুধবার জেলায় দিঘায় এবং বিভিন্ন নদী-জলাশয়ে ভিড় করেছিলেন পুণ্যার্থীরা। বিভিন্ন জায়গায় এই উপলক্ষে বসে মেলাও। দিঘার সমুদ্র সৈকত থেকে নন্দকুমার ব্লকের নরঘাটে হলদি নদীর তীর, নন্দীগ্রামে হলদি নদীর তীরে বাসুলিচকে, পাঁশকুড়ার মাইশোরায় এ দিন সকাল থেকেই হাজির হতে শুরু করেন অসংখ্য পুণ্যার্থী।

নরঘাটে গঙ্গামেলার উদ্বোধন করেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নরঘাটে গঙ্গামন্দির সংলগ্ন হলদি নদী তীরে সেচ দফতরের তৈরি পার্কের উদ্বোধনও করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গামন্দির সংলগ্ন হলদি নদীর পাড় বাঁধানোর জন্য সেচ দফতর ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। মেলার পরেই কাজ শুরু হবে।’’ তমলুক শহর সংলগ্ন উত্তরচড়া শঙ্করআড়ায় বারুণি মেলা উপলক্ষেও রূপনারায়ণ নদে এ দিন স্নান করে গঙ্গাপুজো দেন কয়েক হাজার পুণ্যার্থী।

এ দিন দিঘাতেও নিরাপত্তাও ছিল জোরদার। সমুদ্রে স্নানে বিপদ এড়াতে প্রতিটি ঘাটে নুলিয়া এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা সর্বক্ষণ নজরদারি চালান। দিঘা মোহনায় গঙ্গোৎসবে প্রতিমা দর্শন এবং আতসবাজি প্রদর্শনী দেখেন কয়েক হাজার মানুষ। কাঁথি থেকে পর্যটকদের যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট রুটে অতিরিক্ত বাস চালানো হয়। কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে আগে থেকে প্রশাসনিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।’’

নন্দীগ্রামের বাসুলিচক এলাকায় প্রাচীন বাসুলি মন্দির ঘিরে বসেছে মেলা। এদিন পুণ্যস্নানে ভোররাত থেকেই ভিড় জমে নন্দীগ্রামের হলদি নদীর তীরবর্তী এলাকায়। তবে নদীপথে মেলায় যাওয়ার জন্য চোখে পড়েনি সুরক্ষা বিধি। অভিযোগ উঠেছে, ভিড়ের জন্য বহন ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পারাপার করেছে ভুটভুটিগুলি। এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম ১ এর বিডিও সুব্রত মল্লিক বলেন, ‘‘এরকম হওয়ার কথা নয়। আমি স্থানীয় প্রধানকে নির্দেশ দিচ্ছি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার জন্য।’’

পাঁশকুড়ার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা গ্রামে সিদ্ধিকুণ্ড মেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির দিন মাইশোরার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা গ্রামে বলে এই মেলা বসে। মেলা কবে শুরু হয়েছিল তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। তবে মহাত্মা গাঁধীর আহ্বানে গোটা দেশের সঙ্গে এই মেলাতেও বিদেশি জিনিস পুড়িয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন মাইশোরার বিপ্লবীরা।

Makar Sankranti
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy