Advertisement
১১ মে ২০২৪
sankrail

Sankrail Eco Tourism: ‘সবুজ দ্বীপে’ রাত কাটানোর সুযোগ

আরও বেশি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কোদোপালকে ‘ইকো-টুরিজ়ম’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।

কোদোপালে নদীর চরে গড়ে উঠেছে কটেজ। নিজস্ব চিত্র

কোদোপালে নদীর চরে গড়ে উঠেছে কটেজ। নিজস্ব চিত্র

রঞ্জন পাল
সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৪৪
Share: Save:

সুবর্ণরেখা ও ডুলুং। দুই নদীর সংযোগস্থলে সবুজ চর। সেখানেই কটেজে রাত কাটানোর সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা। পুজোর আগেই এই বন্দোবস্ত চালু হচ্ছে সাঁকরাইলের কোদোপাল ইকো-টুরিজ়মে।

ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কোদোপাল এলাকাটি আসলে ডুলুং ও সুবর্ণরেখার মধ্যবর্তী জেগে ওঠা একটি চর। লোকমুখে এটি ‘সবুজ দ্বীপ’ হিসেবেই পরিচিত। বছর আটেক আগে এখানে ৩২ হেক্টর জমিতে সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে সবুজায়নের পরিকল্পনা করা হয়। একশো দিনের প্রকল্পে গড়ে উঠেছে বহুমুখী জৈব কৃষি খামার। রয়েছে নানা ধরনের ফল ও ভেষজ উদ্ভিদের বাগান। এলাকার ৭টি গ্রামের আড়াইশো আদিবাসী-মূলবাসী পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে খামারে। এ ছাড়াও রয়েছে ছোটদের পার্ক ও মুক্তমঞ্চ। পর্যটকদের মনোরঞ্জনে ওই মুক্তমঞ্চে লোকশিল্পীদের অনুষ্ঠান হবে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, আরও বেশি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কোদোপালকে ‘ইকো-টুরিজ়ম’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ‘জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান’ ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দে তৈরি হয়েছে ৮টি বিলাসবহুল টুরিস্ট কটেজ। প্রতিটি কটেজে দু’জন করে থাকতে পারবেন। রয়েছে ‘ওয়াচ টাওয়ার’ বা নজর-মিনার। সেখান থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা যাবে। পুরো প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে অপ্রচলিত শক্তি। কটেজগুলি সন্ধের পর আলোকিত হবে সৌর বিদ্যুতে। এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

নৌকায় ডুলুং নদী পেরিয়ে এই চরে পৌঁছতে হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, পুজোর পর নদীর উপর কাঠের সাঁকো তৈরি করা হবে। কোদোপালে ‘ইকো-টুরিজ়ম’ তিন বছর আগে উদ্বোধন হয়েছিল। কিন্তু তা চালু হয়নি। সম্প্রতি সাঁকরাইল ব্লক প্রশাসন কটেজগুলি সংস্কার করেছে। রবিবার সাঁকরাইলের বিডিও রথীন বিশ্বাস, ব্লক ইঞ্জিনিয়ার ও একশো দিনের প্রকল্পের আধিকারিকেরা গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন। আপাতত পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে যোগাযোগ করে আগাম কটেজ বুকিং করতে পারবেন পর্যটকেরা। পঞ্চায়েত সমিতির ‘৮৭৯০২৪৪৫০১’ নম্বরে ফোন করে বুকিং করা যাবে। প্রতিটি কটেজের জন্য দৈনিক দু’হাজার টাকা ভাড়া ধার্য করা হয়েছে। বিডিও বলেন, ‘‘পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য এটি খুব সুন্দর জায়গায়। পুজোর আগেই এটি চালু হয়ে যাবে। ফলে নদীর পাড়েই পর্যটকরা রাত কাটাতে পারবেন।’’

কিন্তু তিন বছর আগে তৈরি হয়েও কেন চালু হয়নি? বিডিও-র জবাব, ‘‘কিছু প্রতিবন্ধকতা ও করোনা পরিস্থিতির জন্য চালু হতে
দেরি হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

sankrail eco tourism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE