Advertisement
০৯ অক্টোবর ২০২৪
Recruitment Scam

কাজের পারিশ্রমিকেই টাকা! কুন্তলের সঙ্গে চুক্তিপত্র না-করাটা বড় ভুল, বললেন বনির মা পিয়া

২০১৭ সালে গাড়ি কিনতে বনির অ্যাকাউন্টে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। ওই টাকায় বনি একটি বিদেশি গাড়ি কিনেছিলেন। পরে তিনি সেটি বিক্রি করে দেন।

Bony, Piya and Kuntal

বনি সেনগুপ্ত, পিয়া সেনগুপ্ত এবং কুন্তল ঘোষ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৭:১৪
Share: Save:

টাকার অঙ্কটা বেশ ভারী। কিন্তু সেই ৪০ লক্ষ টাকা যে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নেওয়া হচ্ছে, কাগজে-কলমে সেটা লিখে না-রাখা ঠিক হয়নি বলে মঙ্গলবার স্বীকার করলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের মা, অভিনেত্রী-প্রযোজক পিয়া সেনগুপ্ত। তিনি জানান, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের (শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত) সঙ্গে তাঁর ছেলের কাজের কোনও চুক্তিপত্র তৈরি না-করা তাঁদের তরফে একটা বড় ভুল।

বনির মা বলেন, “কুন্তলের টাকার উৎস বিষয়ে সামান্য ধারণা থাকলে আমরা ওর টাকা ছুঁতামই না।” এ দিন দুপুরে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে তাঁর যাবতীয় সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি, দশ বছরের আয় সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছেন বনি। কুন্তলের সংস্রবের সূত্রেই বনির নাম উঠে এসেছে বলে ইডি-র দাবি।

গত শুক্রবার বনিকে প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এ দিন সকালে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজির হন বনি। ইডি সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালে গাড়ি কিনতে বনির অ্যাকাউন্টে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। ওই টাকায় বনি একটি বিদেশি গাড়ি কিনেছিলেন। পরে তিনি সেটি বিক্রি করে দেন।

ইডি-র কাছে বনির দাবি, ২০১৭ সালে একটি অনুষ্ঠানে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর আলাপ-পরিচয় হয়। দু’টি ছবিতে অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে তাঁকে ওই টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। ছবি দু’টি শেষ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। পরে কুন্তলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পারিশ্রমিক হিসেবেই ৪০ লক্ষ টাকা তিনি মিটিয়ে দিয়েছেন। যদিও কুন্তলের সঙ্গে কাজের জন্য এবং টাকা লেনদেন বাবদ তাঁর কোনও চুক্তি হয়নি বলেও জানিয়েছেন বনি।

পিয়া জানান, গাড়ির জন্য কুন্তলের টাকা সরাসরি গাড়ির শো-রুমের অ্যাকাউন্টেই জমা পড়েছিল। বনি ও কুন্তলের যোগাযোগের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই খামোকা প্রযোজক-পরিবেশকদের সংস্থা ইম্পা-র ভোটের ‘কারচুপি’র কথা বলে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেছেন পিয়া।

তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার পরে বনি সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্তকারীরা যে-সব নথি চেয়েছিল, দিয়েছি। আশা করি, আমাকে আর তলব করা হবে না।” ইডি সূত্রের খবর, দশ বছরে বনির বেশ কয়েক বার বিদেশযাত্রার তথ্য মিলেছে। বিদেশসফরের খরচের উৎস কী, ইডি তা খতিয়ে দেখছে। যদিও ইডি-র কাছে বনির দাবি, নিজের টাকাতেই বিদেশ গিয়েছিলেন তিনি। বনি মঞ্চে অনুষ্ঠান করে কুন্তলের টাকা শোধ দিয়েছেন বলে দাবি করলেও এ দিন ফের প্রশ্ন ওঠে, তিনি টাকা ফেরত দেবেন কি? তার জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘‘এটা তদন্তকারী সংস্থা বুঝবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE