নিরাপত্তায়: এসপিজির সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
দু’দিন বাদে ময়নাগুড়িতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই জনসভায় পাশের জেলা আলিপুরদুয়ারের কোন মণ্ডল থেকে কত লোক যাবে তা এখনও ঠিক করতে পারল না বিজেপি। যদিও দলের জেলা শীর্ষ নেতাদের দাবি, ময়নাগুড়ির সভায় আলিপুরদুয়ার থেকে এক লক্ষ লোক নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন তাঁরা। যা শুনে তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতারা বলতে শুরু করেছেন, বিজেপির জেলা নেতারা ময়নাগুড়িতে দশ হাজার লোক নিয়ে যেতে পারলে তাঁরা রাজনীতি ছেড়ে দেবেন!
গত ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে রথযাত্রা ডাক দিয়েছিল বিজেপি৷ ওইদিন কোচবিহারে সভা করার কথা ছিল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। ওই সভায় তিরিশ হাজার লোকা পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা নেতারা। কিন্তু রথযাত্রা আদৌ হবে কি না তা নিয়ে ধন্দ দানা বাঁধতেই দলের কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। দলের নেতারাই জানান, শেষ পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার থেকে মাত্র দু-তিন হাজার লোকই কোচবিহারে গিয়েছিলেন।
রথযাত্রার সময় ফালাকাটাতেও একটি জনসভা করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বিজেপির আলিপুরদুয়ার নেতারা। কিন্তু রথযাত্রা ভেস্তে যাওয়ায় সেই জনসভাও বাতিল হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের চাঙা করতে দিন কয়েক আগে সেই ফালাকাটাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে নিয়ে এসে একটি সভা করে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই জনসভায় ফালাকাটার মাদারিহাট রোডে রেলের মাঠ ভরলেও বিজেপি নেতারা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেননি বলে জানান অনেক কর্মীই। দলের ওই সভায় জেলা শীর্ষ নেতাদের ১৫ থেকে ১৮ হাজার লোকের জমায়েত করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল বলে দল সূত্রে খবর। কিন্তু সভা শেষে নেতাদেরই কেউ কেউ একান্তে মেনে নেন খুব বেশি হলে সেদিন ৫-৬ হাজার মানুষের ভিড় হয়।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতারা ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় আলিপুরদুয়ার থেকে কত লোক ময়নাগুড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলছেন, ‘‘ময়নাগুড়িতে আলিপুরদুয়ার থেকে এক লক্ষ মানুষ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমাদের৷’’ কিন্তু বিজেপি সূত্রেরই খবর, জেলার ২১টি মণ্ডলের কোনটি থেকে কত লোক ময়নাগুড়িতে যাবে তা এখনও ঠিকই করতে পারেননি দলের নেতারা। বিজেপিরই এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘আমরা প্রতিটি মণ্ডলের শীর্ষ নেতাদের বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহীদের সংখ্যা জানাতে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই সেই তথ্য প্রতিটি মণ্ডল থেকে আসার কথা। তারপরই প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় কত লোক যাবেন, চূড়ান্ত হবে।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মার পাল্টা কটাক্ষ, “বিজেপি যদি আলিপুরদুয়ার থেকে দশ হাজার লোকও ময়নাগুড়িতে নিয়ে যেতে পারে তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy