রামপুরহাট হাসপাতালে তাণ্ডবের অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর ও চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে হাসপাতালে চিকিৎসকের ঘরে ঢুকে পড়েন এক দল ব্যক্তি। হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। এমনকি চিকিৎসকের উপরেও চড়াও হন তাঁরা। দাবি করা হচ্ছে, হাসপাতালে তাণ্ডব চালানো লোকেরা ছিলেন মৃতের পরিজন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার রাতে আশরাফুল শেখ নামে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। একটি দুর্ঘটনার পর শনিবারই তাঁকে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরিবার সূত্রে দাবি, হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। এর পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীনই আশরাফুলের খিঁচুনি শুরু হয় এবং তার পর রোগীর মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের। এর পরই রোগীর পরিজনদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর।
হাসপাতালে মারধরের ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এক দল ব্যক্তি চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকে তর্জন-গর্জন শুরু করেছিল। তার পর নিমেষের মধ্যেই চিকিৎসক ও তাঁর কক্ষে বসে থাকা অপর এক ব্যক্তির উপর চড়াও হন তাঁরা।
শনিবারের ওই ঘটনার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে খবর দেওয়া হয় রামপুরহাট থানায়। রাতেই পুলিশ পৌঁছে যায় হাসপাতালে। কিন্তু তখন পুলিশকর্মীদের হাসপাতালে ঢুকতে দেখে গা ঢাকা দেন হামলাকারীরা। এর পর শনিবার রাতেই হাসপাতাল সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy