এ যেন উলটপুরাণ।
দু’বছর আগে বিস্তর টালবাহানার পরে আদালতের নির্দেশে রথযাত্রা হয়েছিল কোচবিহারে। প্রথমে ঠিক থাকলেও পরে উপস্থিত থাকতে পারেননি অমিত শাহ। এ বারে পুলিশের অনুমতি মিলে গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার কোচবিহার থেকে এই রথযাত্রার উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু জট অন্য জায়গায়। এই দিনই কোচবিহারে অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু পুলিশ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
অমিতের রথযাত্রাকে অবশ্য মালদহ, রায়গঞ্জের সভা থেকে বিঁধেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দেবতারা রথে চড়ে জানি। এখন দেখছি ভোগ করার জন্যেও অনেকে রথে ওঠে। রথে ভোগ করার জিনিস রেখে তাঁরা রথযাত্রা করেন। বলরাম, জগন্নাথ, সুভদ্রা, শ্রীকৃষ্ণ, অর্জুন— বিজেপি নেতারা কি ওদের থেকে বড়?” তিনি আরও বলেন, “জনগণের টাকায় নেতারা ফূর্তি করছেন। জগন্নাথের রথকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। দেবতার রথ বিজেপির রথ হতে পারে না।” এর জবাবে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন বসু বলেন, “এটা রথ নয়, এটা যাত্রা। মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য যাত্রা। তৃণমূল যে অত্যাচার, অন্যায়, দুর্নীতি করেছে তার বিরুদ্ধেই জনমত জানতেই এই যাত্রা।’’
বৃহস্পতিবার কোচবিহার শহরের রাসমেলা ময়দান থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র রথের সূচনা করে অমিত শাহ সেখানে একটি জনসভা করবেন। একই দিন সকাল থেকে কোচবিহার শহরের একাধিক জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভের ঘোষণা করে তৃণমূল। পুলিশের কাছে অনুমতি চায় তারা। কিন্তু পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, ওই অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। এমন হলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। জেলা তৃণমূলের পক্ষ পরে দলের কোচবিহার জেলার সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন। সে জন্যে শহরে কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে ব্লকের কর্মসূচির অনুমতি পাওয়া গিয়েছে।”