Advertisement
E-Paper

কালীপুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণে বারাসতে প্রস্তুত পুলিশ   

বারাসত-মধ্যমগ্রামের কালীপুজো নিয়ে সোমবার ‘মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘গাইড রুট ম্যাপ’ চালু করল পুলিশ-প্রশাসন। আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টে থেকে বুধবার ভোর ৪টে পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ‘নো এন্ট্রি’ থাকবে গোটা বারাসত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ০১:০৪

বারাসত-মধ্যমগ্রামের কালীপুজো নিয়ে সোমবার ‘মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘গাইড রুট ম্যাপ’ চালু করল পুলিশ-প্রশাসন। আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টে থেকে বুধবার ভোর ৪টে পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ‘নো এন্ট্রি’ থাকবে গোটা বারাসত। বহু রাস্তা বন্ধ থাকবে শনিবার পর্যন্ত। ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ছাড়াও টাকি রোড, ব্যারাকপুর রোডে নিয়ন্ত্রিত হবে যান চলাচল। ‘কালীপুজো বারাসত-মধ্যমগ্রাম’ অ্যাপটি ডাউনলোড করলেই ওই অঞ্চলের বড় কালীপুজোর নাম, পথর্নিদেশ থেকে শুরু করে মিলবে আরও অনেক তথ্য।

উত্তর ২৪ পরগনায় এ বছর মোট ২৮৮৮টি কালীপুজো হচ্ছে। সব চেয়ে বেশি ও বড় মাপের পুজো হচ্ছে বারাসত-মধ্যমগ্রামেই। পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, ‘‘অ্যাপ ও গাইড ম্যাপ থেকে কোন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত রয়েছে, কোথায় গেলে কোন এলাকার বাস, ট্রেন মিলবে, সে সমস্ত পথনির্দেশ থাকবে। পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রের ফোন নম্বরও থাকবে।’’

বারাসতের উপর দিয়ে দুই জাতীয় সড়ক ধরে গোটা জেলার মানুষ ছাড়াও প্রচুর গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক প্রতিদিন বনগাঁ-বসিরহাট সীমান্ত ও উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করে। দুই জাতীয় সড়কের মোড়, বারাসতের ডাকবাংলো মোড় থেকেই যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ ছাড়াও যশোর রোড ও টাকি রোডের চাঁপাডালি মোড়, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ময়না, ব্যারাকপুর রোডের হেলাবটতলাতেও থাকবে ‘নো এন্ট্রি’। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নো এন্ট্রির জন্য দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হবে না। সেগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। কেবল শহর বারাসতে গাড়ি চলাচল করতে পারবে না।’’

এমনিতেই বারাসতে কালীপুজোয় ভিড় রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। তার মধ্যে এ বার বারাসতে বড়-মাঝারি সব পুজো কমিটিই বাজেট বাড়িয়েছে। নতুন বড় পুজোও হচ্ছে। ফলে এ বার দর্শকের সংখ্যা অন্য সব বছরের ভিড়কে ছাপিয়ে যাবে বলেই ধারণা পুলিশের।

ভিড়ে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য প্রত্যেক মণ্ডপের সামনে সহায়তা কেন্দ্র, পুলিশি টহলদারি ছাড়াও সাদা পোশাকের ১৬০০ পুলিশ থাকবে। মহিলারা যাতে স্বচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করতে পারেন, সে জন্য ভিড়ে মিশে থাকবেন মহিলা পুলিশকর্মীরা। এ ছাড়াও ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ রাখছে পুলিশ।

তবে এ বার চাঁদা নিয়ে জুলুমের কোনও অভিযোগ ওঠেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ। পুজোর ক’দিন কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিয়ে সজাগ পুজো কমিটিগুলিও। মণ্ডপে নিজস্ব রক্ষী রাখা হচ্ছে বলে জানালেন উদ্যোক্তাদের অনেকেই। ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য পরিচয়পত্রও ছাপিয়েছে পুলিশ। সহায়তা কেন্দ্র থেকে সেই পরিচয়পত্রে নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে বাচ্চাদের পকেটে রাখার জন্য প্রচারও চলছে।

Kali Puja Crowd Police Barasat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy