দুর্গাপুর ‘গণধর্ষণকাণ্ডের’ তদন্তে নেমে জঙ্গলের মূল ঘটনাস্থল আগেই ঘিরে ফেলেছিলেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের সেখানে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলের সেই ঘিরে রাখা এলাকা আরও কিছুটা বিস্তৃত করা হল। আগের ঘেরা জায়গার পাশেই আরও প্রায় ৫০ মিটার এলাকা নতুন করে কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে। এর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি তদন্তে নতুন কিছু উঠে এল?
বৃহস্পতিবার সকালে ‘নির্যাতিতা’র সহপাঠী-বন্ধুকে নিয়ে আবার ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে খবর, তাঁর কথায় নানা রকম অসঙ্গতি থাকার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি পাঁচ ধৃত এবং ‘নির্যাতিতা’র বয়ানের সঙ্গে সহপাঠীর বয়ান বার বার মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই কারণেই তাঁকে আবার ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। তা করতে গিয়ে মূল ঘটনাস্থলটি আরও একটু বিস্তৃত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেন্সিক দলও।
আরও পড়ুন:
ঘটনাস্থলটি ক্যাম্পাস থেকে প্রায় পাঁচশো মিটারের মধ্যে। পাকা রাস্তা থেকে একটি মাটির রাস্তা বেরিয়ে গিয়েছে সেখানে। প্রায় একশো ফুট এগিয়ে দু’ভাগ হয়েছে। সেখান থেকেই জঙ্গলের শুরু। বাঁ দিকের সামান্য চওড়া রাস্তা গিয়েছে একটি শ্মশান ও মন্দিরের দিকে। সঙ্কীর্ণ রাস্তাটি গিয়েছে গ্রামে। সে রাতে ওই সঙ্কীর্ণ রাস্তাতেই অপরাধের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর মল্লিক বলেন, ‘‘এই ঘটনায় গোটা গ্রামের মানুষ লজ্জিত। আমিও এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করি। কাজে যাই। মাঝেমধ্যে চুরি-ছিনতাই হত। তবে এই ঘটনার সঙ্গে যদি গ্রামের ছেলেরা সত্যিই জড়িত থাকে, আমরা ওদের শাস্তি চাইছি।’’