প্রতীকী ছবি।
গলায় পেঁচানো ছিল সরু দড়ি। পোশাকে লেগেছিল রক্ত। শিলিগুড়ির ভক্তিনগরে একটি চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে শুক্রবার উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। ময়নাতদন্তের পরে জানা যায়, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাকে। তদন্তকারী পুলিশের সন্দেহ, অভিযুক্ত নিশ্চয়ই ওই নাবালিকার পূর্ব পরিচিত। তাই ধর্ষণের পরে শিশুটিকে খুন করা হয়েছে।
এই ভয়াবহ ঘটনার যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার উত্তাল ছিল শিলিগুড়ি। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরীর সোয়েটারের পকেট থেকে তিরিশ টাকা মিলেছে। তার বাবা-মার দাবি মেয়ের হাতে কখনই কোনও টাকা দেননি। তাই প্রাথমিক সন্দেহ, খাবার কেনার টাকা দেওয়ার টোপ দিয়েই ছাত্রীকে ছাদে ডাকা হয়েছিল। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘পকসো আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রকৃত দোষীরা কিছুতেই ছাড়া পাবে না।’’ চারতলা ওই বাড়ির মালিক এবং তাঁর দুই ছেলেকে জেরা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
অভিযুক্ত যে ওই চারতলা বাড়িতেই থাকে সে বিষয়ে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত।
ওই বাড়ির এক এবং দোতলায় মোট ১১টি পরিবার ভাড়া থাকে। তিনতলায় কেউ থাকে না। চারতলায় থাকেন মালিক ও তাঁর পরিবার। একমাত্র তাঁদের ঘরের মধ্যে দিয়েই ছাদে ওঠার সিড়ি রয়েছে। সকলের নজর এড়িয়ে অপরিচিতদের ছাদে যাওয়া অসম্ভব বলে বাসিন্দাদের দাবি। বাড়ির মালিক সুমতি সরকার বলেন, ‘‘পুলিশ আমার স্বামী এবং দুই ছেলেকে সারা দিনরাত থানায় বসিয়ে জেরা করে চলছে। ওরা কেউই এই ঘটনায় জড়িত নয়। আমাদের বাড়িতে আরও অনেক পুরুষ-মহিলা থাকেন। সকলকে জেরা করা হোক।’’
ওই ছাত্রীর বাবা দাবি করেছেন সন্ধে থেকে মেয়েকে না পেয়ে নানা জায়গায় খোঁজ করছিলেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। রাত দু’টো নাগাদ সুমতিদেবী তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে ছাদে খোঁজার পরামর্শ দেন। তিনিও সঙ্গে ছাদে গিয়েছিলেন। সেখানেই মোবাইল টাওয়ারের জন্য তৈরি কংক্রিটের ঘেরাটোপে প্রায় দশ ফুট লম্বা মই বেয়ে উঠে মেয়ের দেহ দেখতে পান তিনি।
নাবালিকা মৃত্যুর এই ঘটনায় ওই বাড়ির সব পুরুষ সদস্যকে ভত্তিনগর থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করে পুলিশ। সবাইকে ছেড়ে দিলেও তিনজনের জেরা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy