সার্ভিস রিভলভার দিয়ে বাবা-মাকে গুলি করে খুন! তার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক পুলিশকর্মী। ঝাড়গ্রাম শহরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই পুলিশকর্মীকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশকর্মীর মা-বাবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।
ওই পুলিশকর্মীর নাম জয়দেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি রাজ্য পুলিশের জঙ্গলমহল ব্যাটালিয়নের সাব ইনস্পেক্টর (এসআই)। ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। আদতে আসানসোলের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে থাকতেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে। বুধবার রাতে হঠাৎই গুলির শব্দ পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশকর্মীর কোয়ার্টার্সে ঢুকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর বৃদ্ধ মা-বাবাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকর্মীর বাবা দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং মা শম্পা চট্টোপাধ্যায়কে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত পুলিশকর্মীকে প্রথমে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর বত্রিশের ওই পুলিশকর্মী অবিবাহিত। মা-বাবার সঙ্গেই কোয়ার্টার্সে থাকতেন। মা-বাবাকে গুলি চালিয়ে খুন করে নিজের গলা লক্ষ্য করে গুলি চালান তিনি। কী কারণে তিনি এমন কাজ করলেন, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশও। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা।