E-Paper

নদী-ভাঙন আলোচনায়  প্রাপ্তি সেই দোষারোপই

বিধানসভার সেচ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট নিয়ে এ দিন আলোচনায় অংশ নেন শাসক ও বিরোধী দলের একাধিক বিধায়ক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৫ ০৮:০১
নদী ভাঙন নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা।

নদী ভাঙন নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা। —ফাইল চিত্র।

গঙ্গা ভাঙন নিয়ে পুরনো রাজনৈতিক চাপানউতোরেই কাটল রাজ্য বিধানসভার বুধবারের বিতর্ক। বিরোধীদের তো বটেই এ নিয়ে শাসকদলের বিধায়কদের উদ্বেগের সামনে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ঢাল হিসেবে খাড়া করলেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকেই। ফলে এক ঘণ্টার আলোচনা শেষে ভাঙন- বিধ্বস্ত এলাকার জন্য পড়ে থাকল শুধুই দোষারোপ।

বিধানসভার সেচ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট নিয়ে এ দিন আলোচনায় অংশ নেন শাসক ও বিরোধী দলের একাধিক বিধায়ক। দল নির্বিশেষে গঙ্গার ভাঙনে ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত মালদহ ও মুর্শিদাবাদের একাধিক বিধায়ক নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। সেই সূত্রেই সেচমন্ত্রী দীর্ঘ বক্তৃতায় ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা টেনে এনেছেন। সেই সঙ্গেই রাজ্যের স্বার্থে রাজ্যেরই বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের উদাসীনতার কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘একটা পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র। আপনারা রাজ্যের স্বার্থেই নিজেদের সরকারের নেতা- মন্ত্রীদের কাছে যান।’’

পাশাপাশি রাজ্য সরকার কী করেছে, তার ব্যাখ্যায় বারবারই ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক ভূমিকা’ করেছেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘শুধু মালদহ ও মুর্শিদাবাদে ২৫ হাজার ৩২৬ বিঘা জমি জলের নীচে চলে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৫৯৯ জনকে পাট্টা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবাস প্রকল্পে বাড়ি করে দেওয়া হচ্ছে।’’

বক্তৃতায় সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটি জায়গায় গঙ্গা ও পদ্মার ব্যবধান কমে তিন কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। বিপজ্জনক এই পরিস্থিতিতে হয়তো এলাকার ভূগোলই পাল্টে যেতে পারে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

River Erosion West Bengal Legislative Assembly

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy