নিম্নচাপের জেরে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে ফের ফুঁসতে শুরু করল বাঁকুড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেশির ভাগ নদী। বুধবার সকাল থেকে বাঁকুড়ার দারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, কংসাবতী, শিলাবতী-সহ সব ক’টি নদীই দুকূল ছাপিয়ে বইতে শুরু করে। ফলে আরও এক বার বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।
নিম্নচাপের জেরে বাঁকুড়ায় রবিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। তিন দিন ধরে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই নদীগুলির জলস্তর বাড়তে শুরু করে। বাড়তে বাড়তে জল প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে গন্ধেশ্বরী নদীর উপর মানাকানালি, শিলাবতী নদীর উপর সিমলাপাল এবং ভৈরোবাঁকি নদীর উপর থাকা রাইপুর ব্লকের একটি সেতু।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, এ ভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে দ্রুত এই তিনটি সেতুর উপর ফের জল উঠে আসবে। বন্ধ হয়ে যাবে যাতায়াত। মঙ্গলবার রাত থেকেই বাঁকুড়া শহর লাগোয়া দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর বাড়ছিল। বুধবার সকালে দেখা গেল, নদের মীনাপুর কজওয়ের উপর দিয়ে প্রায় ছ’ফুট উচ্চতায় জল বইছে। ফলে ওই কজওয়ে দিয়ে যাতায়াত আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
এ দিকে, নিম্নচাপের জেরে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় লাগাতার বৃষ্টি হওয়ায় সোমবার থেকেই কংসাবতী নদী দিয়ে বিপুল পরিমাণ জল আসতে শুরু করেছে মুকুটমণিপুর জলাধারে। বুধবার জলাধারের জলস্তরের উচ্চতা প্রায় ৪৩০ ফুট ছুঁয়ে ফেলে। এমনিতে মুকুটমণিপুর জলাধারে সর্বোচ্চ জলধারণ ক্ষমতা ৪৩৪ ফুট। অনেকের ধারণা, যে হারে কংসাবতী দিয়ে জলাধারে জল আসছে, তাতে দ্রুত সর্বোচ্চ জলধারণ ক্ষমতার সীমা ছুঁয়ে যাবে। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে সেচ দফতর ওই জলাধার থেকে সাড়ে বারো হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া অব্যাহত রেখেছে। তবে ফের বৃষ্টি হলে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কিছুটা বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে সেচ দফতর সূত্রের খবর।