পুলিশের পরিচয় দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হেলমেট চেকিংয়ের নামে একের পর এক বাইক আরোহীর কাছ থেকে টাকা তুলছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। বিশেষ সূত্রে পুলিশের কানে সেই খবর যেতেই ‘বিপাকে’ পড়লেন দু’জন। পরিচয় ভাঁড়িয়ে টাকা তোলার অভিযোগে দুই জওয়ানকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার এমআইটি মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। শুক্রবার হাজির করানো হয় বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে।
সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হেলমেট বিহীন বাইকচালকদের জরিমানা করছে পুলিশ। অভিযোগ, সেই ‘সুযোগ’কে কাজে লাগিয়ে টাকা তোলার ফন্দি এঁটেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। বিষ্ণুপুর থেকে কোতুলপুর যাওয়ার রাজ্য সড়কে বিষ্ণুপুর শহরের অদূরে এমআইটি মোড়ের কাছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই জওয়ান দাঁড়িয়ে পড়েন। পুলিশের পরিচয় দিয়ে একের পর এক হেলমেট বিহীন বাইকচালককে আটকে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিতে শুরু করেন তাঁরা। দু’জনেই সাধারণ পোশাকে ছিলেন। তার পর জরিমানা নেওয়ার পরে সরকারি রসিদও দিচ্ছিলেন না তাঁরা।
বিষয়টি দেখে সন্দেহ হওয়ায় এক বাইকচালক বিষ্ণুপুর থানায় বিষয়টি জানান। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হাতেনাতে ধরা পড়েন দুই জওয়ান। দু’জনকেই বিষ্ণুপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এক বাইকচালকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অভিজিৎ চক্রবর্তী ও সঞ্জু ঘোষ। বিএসএফের জওয়ান অভিজিতের বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহাপাত্রপাড়ায়। আর আইটিবিপি-তে কর্মরত সঞ্জুর বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন মহল এলাকায়। ধৃতদের শুক্রবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। এ নিয়ে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে হেলমেট ‘চেকিং’-এর নাম করে ওই দুই যুবক টাকা তুলছিলেন। হেলমেট-বিহীন বেশ কয়েকজন বাইক আরোহীর কাছ থেকে প্রায় ৬০০ টাকা আদায় করেছিলেন তাঁরা। আমরা সেই টাকা ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছি। বাইক আরোহীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় ওই দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। বিষয়টি বিএসএফ এবং আইটিবিপি-র আধিকারিকদেরও জানানো হয়েছে।’’